কাকন মাহমুদ
দানিউব নদী । পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীর জন্ম জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্টে।এরপর অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, স্লোভেনিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও ইউক্রেনকে ছেদ করে মিলিত হয়েছে কৃষ্ণ সাগরে।
বাংলায় দানিউব নদী বললেও জার্মান শব্দে ডোনাও যার অর্থ গভীর জল। এই দানিউব নদীর মায়াতেই নাকি ১৮৬৭ সালে জন্ম হয়েছিল অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সম্রাজ্যের।
দানিউব! ইতিহাস, ইতিহাসের মা , ইতিহাসের সাক্ষী।
অনেক জীব বৈচিত্রের আর গুপ্তধনের ঠিকানা এই দানিউব আবারো একবার আলোচনায় আসলো গত ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে । অস্ট্রিয়ার গ্রাজে অবস্থিত গ্রাজ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, তাদের একটি প্রকাশনায় জানায়, ICPDR (International Commission for
the Protection of the Danube River) এর উদ্যোগে প্রায় দশ বছর ধরে, প্রায় ৬০০ সিউডোমোনাস* প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার অনুসন্ধান ও গবেষণা করে আসছে । এই গবেষণার লক্ষ ছিল মূলত এন্টিবায়োটিক-রেসিস্টেন্স ব্যাকটেরিয়াগুলোকে শনাক্ত করা।
প্রফেসর ড. গের্নট জারফেল ও প্রফেসর ড.ক্লেমেন্স কিটিংগার বলেন, আমাদের স্পেনের সহকর্মীসহ আমরা এমন অনেক গুলো ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছি যেগুলো ইতিপূর্বে সঠিক ভাবে শ্রেণী বিন্যাস করা ছিল না যা মানব চিকিৎসা ও ঔষধ আবিষ্কারে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে ।
এর পরেই যোগ করেন, এই গবেষণায় আমরা আরো একটি এককোষী জীব পেলাম যেটাকে আমরা আর কোনো গ্রুপেই স্থান দিতে পারছিলাম না, আর সেটাই হলো আমাদের নতুন আবিষ্কার করা ব্যাকটেরিয়া Pseudomonas danubi সিউডোমোনাস দানিউবি।
প্রফেসর আরো বলেন, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জন্মানো, এই এককোষীর জন্ম ও উৎপত্তি অস্ট্রিয়ার দানিউব যদি হলেও এটি দানিউবের বাইরেও মাটি এবং রাইজোস্ফিয়ার সহ বেশ কয়েকটি স্বাদু পানিতেও পাওয়া গিয়েছিল, অর্থাৎ জীবিত শিকড়ের আশেপাশেই এর আবাসস্থল।
অবশেষে বলা যায় অন্তত অস্ট্রিয়ার দীর্ঘতম এই নদীটি তার নিজস্ব ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির সাথে নিজে সম্মানিত হলো আবারো, স্থান করে নিলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের শাখায় - প্রশাখায়।
*সিউডোমোনাস প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সাধারণত দুর্বল প্রজাতির হয়ে থাকে, এই ব্যাকটিরিয়া বিশ্বের যে কোনো আর্দ্র কোণে বৃদ্ধি পায়। সুইমিং পুল, বালতিতে বংশ বিস্তার করতে পারে এমনকি আমরা বৃষ্টির পানি সংগ্রহের পাত্রেও।
লেখক
পরিচিতি:
কাকন মাহমুদ
বায়ো-মেডিসিন ডিভাইস ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রকৌশলী
গ্রাজ, অস্ট্রিয়া
তথ্যসূত্র: গ্রাজ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রিয়া
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (M.. বিস্তারিত
মুস্তাকিম আহমেদ বিস্তারিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পুরো বক.. বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত