মুস্তাকিম আহমেদ
“এটা কী?”
“বিয়ের কার্ড চেনো না?”
“উফ! ডিসেম্বর মাস আসতে না আসতে শুরু হয়ে গেল!গত বছর ৪টা দাওয়াতে অতিরিক্ত কতগুলো টাকা বের হয়ে গেছে।এ বছর কয়টা দাওয়াতে যেতে হয় আল্লাহ্ মাবুদই জানেন!”
ওনারা টেনশন
করতে থাকুক। আমরা একটা কৌতুক শুনে আসি!
একবার
বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্লেনে চেপে সফরে যাচ্ছেন।
উনি প্লেনে
উঠতেই পাইলট থেকে শুরু করে কর্মরত সবাই তাঁর সাথে দেখা করে গেলেন।আইনস্টাইন বলে
কথা!
তিনি তাঁর
নির্ধারিত সিটে বসলেন।
যাত্রীদের
উদ্দেশে পাইলটের উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ ভেসে এলো স্পীকারে।প্লেন সময়মত যাত্রা শুরু করলো।
দীর্ঘ যাত্রা।
বিজ্ঞানী
কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরক্ত হয়ে গেলেন।বারবার ঘড়ি দেখেন-সময় যেন কাটছেই না।
তাঁর পাশের
সিটের ভদ্রলোক গভীর ঘুমে।
সময় কাটানোর
জন্য আইনস্টাইন তাঁর সহযাত্রীর ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করলেন।অনেকক্ষণের চেষ্টায় তার ঘুম ভাঙলো।
“দেখুন! এত বড় পথ! কতক্ষণ আর শুয়ে বসে থাকা যায়? তারচেয়ে
আসুন আমরা একটা খেলা খেলি!”
“কী খেলা?”
“খুব মজার সহজ একটা খেলা!
“আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করবো। আপনি যদি উত্তর
দিতে না পারেন আমাকে ৫০ টাকা দিবেন।
এরপর আপনি আমাকে
একটা প্রশ্ন করবেন। আমি উত্তর দিতে না পারলে আপনাকে ৫০০০ টাকা দিব!”
ভদ্রলোক এবার
নড়েচড়ে বসলেন।
“ঠিক আছে! আপনি মহাবিজ্ঞানি আইনস্টাইন- আপনিই
আগে প্রশ্ন করেন।”
আইনস্টাইন
প্রশ্ন করলেন।
“আচ্ছা বলুন তো! সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কত?”
ভদ্রলোক সাথে
সাথে তার পকেট থেকে ৫০ টাকা আইনস্টাইনকে দিয়ে বললেন, “জানি না।”
“এবার আপনি প্রশ্ন করুন।”
একটু কাঁচুমাচু
হয়ে তিনি প্রশ্ন করলেন-
“কোন প্রাণী পাহাড়ে উঠে তিন পায়ে কিন্তু নামার
সময় চার পায়ে নামে?”
প্রশ্ন শুনে তো
আইনস্টাইনের চোখ ছানাবড়া।
“উঠার সময় তিন পা অথচ নামার সময় চার পা?”
কিছুতেই উত্তর
খুঁজে না পেয়ে বিজ্ঞানী পরাজয় স্বীকার করে সহযাত্রীর হাতে নগদ ৫০০০ টাকা তুলে
দিলেন।
এতটা লজ্জিত
তিনি বহুদিন বোধ করেন নি।
ভদ্রলোক টাকাটা
হাতে পেয়ে একগাল হেসে যেই না চাদর মুরি দিয়ে ঘুমানোর পায়তারা করবেন, আইনস্টাইন
রাগে ফেটে পড়লেন।
“আরে! আপনি তো ভারি অলস লোক! উত্তরটা না বলে আবার
ঘুমাতে যাচ্ছেন?
তাড়াতাড়ি বলুন
এটা কোন প্রাণী?”
মুখ থেকে চাদর
সরিয়ে তিনি আইনস্টাইনের হাতে ৫০টা টাকা দিয়ে বললেন, “আমি জানি না!”
আরেকটা কৌতুক
হয়ে যাক!
বিজ্ঞানী
আইজ্যাক নিউটন বন্দর থেকে জাহাজে চেপেছেন। গন্তব্য ভারত।
তিনি জাহাজে
উঠতেই নাবিকসহ সবাই ছুটে এলেন। হাজার হোক নিউটন বলে কথা!
নিউটন নিজের
সিটে বসতে গিয়ে দেখলেন পাশের সিটের যাত্রী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন।
দীর্ঘ
পথ।দুলুনিতে তন্দ্রা আসতে চাইলেও সহযাত্রীর নাসিকা গর্জনে ঘুমানো আর সম্ভব হল না।
“এই যে ভাই শুনছেন?”
লোকটা ধড়ফড় করে
উঠে বসলেন।
“আইসা পড়ছি?”
“না। জাহাজ ভারত পৌছাতে এখনো অনেক দেরি।আসুন
আমরা একটা খেলা খেলি!” (প্রিয় পাঠক কিছু কি আঁচ করে ফেলেছেন?”)
“খেলা? এত মাইনসের মইধ্যে?”
“খুব মজার সহজ একটা খেলা!
“আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করবো। আপনি যদি উত্তর
দিতে না পারেন আমাকে ৫০ টাকা দিবেন।
এরপর আপনি আমাকে
একটা প্রশ্ন করবেন। আমি উত্তর দিতে না পারলে আপনাকে ৫০০০ টাকা দিব!”
“কন কি!”
“সত্যি বলছি!”
“আইচ্ছা আপনে আগে জিগান।”
“বলুন তো! সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কত?”
“আরে মিয়া মাইপা দেখছি নাকি? এই
লন ৫০ টেকা!”
“এইবার আমার প্রস্নের জওয়াব দিবার পারলে বুঝুম
....”
“প্রশ্ন করুন।”
“কন দেহি!কোন জানোয়ার পাহাড়ে উঠে তিন পায় মগার
নামে চার পায়...?”
প্রিয়
পাঠক, কৌতুকটার শেষটা বুঝতে পেরে খুব একটা
হাসি পাচ্ছে না, তাই না?
শুধু
আপনি নন, আমরা কেউই আগে শুনেছি এমন কৌতুকে তেমন
হাসি না।
ভেবে
দেখুন তো, এক কৌতুকে বারবার হাসি না পেলে, পরিচিত সমস্যা, সংকটে নতুন করে বিচলিত হওয়া কিংবা একই
করোনাকে বারবার ভয় পাওয়া কি ঠিক?
সিনিয়র শিক্ষক, বিজনেস, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (M.. বিস্তারিত
মুস্তাকিম আহমেদ বিস্তারিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পুরো বক.. বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত