সহজপাঠের সবুজ মাঠে
সামিনা হক শাম্মী
দিনটি ছিল ইংরেজি নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ ২০২২। শুক্রবারের মিষ্টি মিষ্টি শীতসকালে শুরু হলো সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাবেশ আয়োজন, চিরচেনা ইস্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে খোলা আকাশের সবুজ প্রান্তরে। সেই গল্প নিয়েই আজকের আসর।
সকাল ৮:৩০। হাতঘড়িটা সে কথাই জানান দিচ্ছে। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর। মীনাবাজারের পাশঘেঁষে অভিভাবক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের কিচিরমিচিরে ভরে উঠেছে চত্বরটা। চারপাশে উৎসবের মৌ মৌ আঘ্রান।ইস্কুলের ছোটবড় শিশু- কিশোরেরা ধুপ ধাপ করে অস্থির পায়ে টপাটপ উঠে পড়ছে, সাওয়ারী নিতে অপেক্ষপান নির্ধারিত বাসগুলোতে। পছন্দমতো জায়গা খুঁজে নিচ্ছে ঝটপট, বাসের জানালা গলিয়ে হাত-মুখ বের করে চেঁচিয়ে ডাকছে প্রিয় সাথীদের.... "এই যে, আমি এখানে, দৌড়ে আয়, তোর জন্য জায়গা রেখেছি যে..."।
থেমে নেই অভিভাবকেরাও। চেনা মুখগুলো খুঁজে নিচ্ছেন দ্রুততায়। প্রিয়জনদের সাথে পরিকল্পনা করে, রঙ মিলিয়ে পোশাক গায়ে চড়িয়েছেন ভারী ছেলেমানুষীপনায়। ছানাপোনাদের পৌঁছে দিয়ে-ই নিশ্চিন্ত হয়ে ব্যস্ত হয়েছেন নিজ দলের সঙ্গীদের খুঁজে পেতে।
আজ আরো একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে সেজেছেন শিক্ষা কর্মীরাও, তবে আনন্দ- আয়োজনে মন ভাসলেও দায়িত্ব পালনে খামতি নেই একরত্তি।
কেউ শিশুদের শ্রেনীভেদে সংখ্যা মেলাতে মাথা গুনছেন, তো কেউ খাবার আর মঞ্চ সজ্জার পণ্যাদি গোছাতো ব্যস্ত....।
শেষমেষ বাস বোঝাই হলে পর, মৃদু গুঞ্জন তুলে নড়েচড়ে উঠলো আজকের যান্ত্রিক পঙ্খীরাজগুলো । নাকের উপর সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয় এর ব্যানার ঝুলিয়ে বাতাস কেটে ছুটে চলল গন্তব্যে - নিউ ভিশন ইকো সিটি, কলাতিয়া রোড, কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে।
চলন্ত বাসে উচ্চস্বরে চলছে তুমুল আড্ডা। ছোট ছোট আটপৌরে কথাগুলোতেও অকারণ ভালো লাগায় হেসে লুটিয়ে পড়ছে সবাই এ ওর গায়ে। চারপাশে কেবল আনন্দ আর আনন্দ। এরই সাথে পাল্লা দিয়ে পেছেন সারি থেকে ভেসে আসছে গান। হেড়ে গলা, শান দেয়া রেয়াজি কন্ঠ সব মিলেমিশে একাকার... সবই আছে এই সমবেত উচ্ছ্বাসে...।
বলতে কী, প্রতিবছরের এমন আয়োজনের সাথে এবার যোগ হয়েছে ইয়া বড় এক সুখবর। সেটা হলো, আজকের গন্তব্যের পাশেই সহজপাঠ ইস্কুলের বায়না করা নিজস্ব জমিটিও দেখা হবে সব্বাই মিলে। নিজেদের জায়গায় মাঠসহ ইস্কুলের স্বপ্ন-সুরমা চোখে মেখে সকালের হিমহিম হাওয়ায় চুল উড়িয়ে চলল তারা সবুজের পানে।
অবশেষে পৌঁছে গেলাম স্বপ্নরাজ্যে। চারপাশ জুড়ে উপচে পড়া লতাগুল্মের সবুজ দেয়াল ঘেরা বিশাল মাঠ। মাথার ওপর নীলচে আকাশ। ঘাসের গালিচায় পা রাখতেই বাচ্চারা ছুটতে শুরু করল.... কে বলছে!? কে শুনছে!? কে জানে?
ওরা শুধু জানে "ছোট্ রে ভাই, ছোট্"। পায়ের জুতোগুলো মালিক হারিয়ে 'বেচারা' হয়ে জমা পড়েছে গাছের ছায়ায় জমিয়ে আড্ডা মগ্ন অভিভাবকদের চেয়ারের নিচে... এইক্ষণেইই অভিভাবকদের বয়ে আনা নিজ নিজ বড় বড় ব্যাগগুলোর রহস্য জট খুলতে শুরু করেছে.... ঝুলি থেকে বের হচ্ছে- আয়েশ করে বসে গল্প করার জন্য ছোট ছোট চাদর, শিতল পাটি, পানির গ্লাস, হাতপাখা, ক্যামেরা আরো কত কী...। সেইসাথে আড্ডাকে জম্পেশ করে তুলতে, সঙ্গে আনা বিস্কুট, চানাচুর আরো সব মুখরোচক হালকা খাবারের বাহার।
ওদিকে থেমে নেই শিক্ষাকর্মী আর আয়োজকদের দায়িত্বপূর্ণ কাজগুলো। নিজ নিজ কাজের জায়গাটি তাঁদের ভালোভাবেই রপ্ত করা। তাই বাচ্চাদের মূল অনুষ্ঠানের মহড়া ব্যবস্থায় লেগে গেছেন কেউ, কেউ ব্যস্ত খেলা ও মঞ্চ গোছানোতে, কেউ খাবার তদারকিতে আর কেউ-বা অতিথিদের সুবিধা নিশ্চিত করতে।
ওইদিকে ওখানেই ঐ যে কোনটা জুড়ে ইয়া বড় বড় হাঁড়ি। না, না, ডেকচি বললে মানাবে বেশ। বিয়ে বাড়ির মত বিশাল বিশাল ডেকচি, ঢাকনা আর লম্বা হাতলযুক্ত হাতির কানের মতো চামচ দিয়ে চলছে রান্নার
তোরজোড়।
ভীষণ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নাস্তা নিয়ে বেশ করে শক্তি জুটিয়ে বড়রা গালগপ্পে আর ছোটরা মানে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ শিক্ষা কর্মীদের নির্দেশনায় নাচের মহড়া শুরু করলো। খোলা আকাশকে মাথায় নিয়ে সাদা আর হলুদ ফতুয়ার সাথে কোমর বেঁধে, লাল ওড়নার বন্ধনীতে দারুণ দেখাচ্ছিলো ফুলকুড়িদের সমবেত নৃত্য মহড়া। সেই উচ্ছ্বাসে অভিবাবকদের অনেকেই মুগ্ধতার গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে, কেউ ছবি তুললেন, তো কেউ ভিডিও শুরু করলেন মুহূর্তগুলোকে যতটা সম্ভব যন্ত্র-বাক্সে আটকে ফেলতে।
এরই মধ্যে বাতাসে ঘুরে ফিরছে স্নিগ্ধ উত্তেজনা- ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার আসার কথা। কখন আসবেন তিনি?
মাঠের ঐ মাথাটায় নাগরদোলা বসেছে। ওর সামনেই লাইন ধড়েছে বাচ্চারা.....। আপুমনি ভাইয়াদের মিষ্টি ধমকেও কাজ হচ্ছে না আজ। হবে কী করে? বাতাস জুড়ে সবুজ মাটির মিষ্টি সোঁদা গন্ধ, পায়ের নিচে ঘাসের আদর, পাশেই স্ফটিকের মত ঝকঝকে কাশফুলে ঢাকা সীমাহীন সমুদ্র-ঢেউ যখন মনের মধ্যে আছড়ে পড়ে, তখন কি আর নিজেকে সামলানো যায়?... সেই সাথে কান জুড়িয়ে দেয়া 'লাল-হলুদ আল্পনা' আঁকা কাঠের নাগরদোলার মোহনীয় ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ । হাত দিয়ে টেনে টেনে ঘুরিয়ে চলেছে তার অক্লান্ত দুইজন তরুন মালিক। স্কুল পড়ুয়া এসব শহুরে ছোট্টমবিদের আকুলি বিকুলি ওদের নিয়মিত ব্যবসায়িক মনকে ঢেকে দিয়েছে স্নেহের চাদরে। ঘামে জব জবে মুখে তাই মায়াবী হাসি।
তথাপি শিক্ষা কর্মীদের অনুশাসনে ক্ষণিকেরতরে বিশ্রামে গেল নাগরদোলার দুই কান্ডারী।
শুরু হলো মূল অনুষ্ঠান। নাচের নির্দেশনা ও কোরিওগ্রাফির মুন্সিয়ানায় প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীর বিশাল বহর অংশগ্রহণ করল গানের ছন্দে। মুগ্ধতা মিলিয়ে যাবার আগেই নতুন মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়ে লাঠি নৃত্য নিয়ে এলো আরো একদল ঝকঝকে মুখ। ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় চোখ যখন প্রায় অভ্যস্ত, তখনই অনুষ্ঠানের মোড় ঘুরিয়ে দিলো শিক্ষা কর্মীদের তারুণ্য দীপ্ত নাচের ছন্দ। কোমরে লাল কাপড় বেঁধে, বাজনার তালে তালে, দুই হাতে দুই রুমালের ছন্দায়িত ঝটকা আন্দোলিত করে তুললো সবাইকে।
কোন মঞ্চের বালাই নেই। পায়ের পাতায় সবুজ ঘাসের সজীবতার স্পর্শ মেখে মাঠের মাঝখান জুড়ে চলছে এসব পরিবেশনা। প্রায় ২০-২৫ জনের এক ঝাঁক তারুণ্যদীপ্ত শিক্ষাকর্মী গোল হয়ে নয়নাভিরাম ভঙ্গিমায় ঘুরে ঘুরে হাত পা নেড়ে গানের সাথে তাল মিলিয়ে মুগ্ধ করছেন পাহাড়িয়া মাদলের মাদকতায়। সুরের যাদু-মুগ্ধ কিছু অভিভাবকও যোগ দিলেন সেই আমেজে গা ভাসাতে। অপূর্ব এই পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি।
এবার বিশ্রাম ও আরো একবার নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের পালা। সকালের মতোই সারিবদ্ধ শৃঙ্খলতায় দুপুরের খাবার আয়োজনে ধুমায়িত মজাদার পোলাও, রোস্ট, টিকইয়া আর রঙিন সবজিতে থালা সাজিয়ে তৃপ্তির সাথে চললো ভোজন পর্ব।
দুপুরের খাবার শেষে, শিশু কিশোরদের আবার সেই দে-ছুট সবুজ মাঠের হুল্লোড়ে । শুরু হলো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। জুতো দৌড়, বিস্কুট দৌড়, অংক দৌড়, অতীতের সেই ফেলে আসা প্রিয় খেলা গুলোকে সহজ পাঠের শিক্ষা কর্মীরা সযত্নে ঢেলে দিয়েছেন আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার তালিকায়। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই খোলা মাঠে, ছোট্টটি থেকে শুরু করে বড় ক্লাসের আপু-ভাইয়ারাও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনন্দ কুড়ালো কোচর ভরে।
অবশেষে অভিভাবকদের জন্য শুরু হলো 'বেলুন-খেলা'। আজকের সমাবেশে জেনে বুঝে, সবার কথা ভেবেই কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করেছেন মজার এই বেলুন খেলা। তাই কেবল তরুণ বাবা-মা নয় বরং বয়োজেষ্ঠ্য নানাভাই ও দাদাভাই বা নানুমনি ও দাদিজী-রাও বেশ করে জমিয়ে অংশ নিতে পারলেন এই খেলাটিতে। কে যে শেষে বিজয়ের হাসিটি হাসলেন, সে আর বুঝলাম না। কারণ সবার চোখ-মুখ জুড়ে একই রকম ঝকঝকে নির্মল আনন্দ ছটা।
সব খেলা ক্ষান্ত হলে পর পুরস্কার বিতরণের পালা। সেও এক দারুণ ব্যাপার। সবাইকে ডেকে-ডুকে আর আনা যায় না। সবুজ মাঠ, কাশফুল, সাদা দিগন্ত, মাথার উপর এক ঝাঁক পাখ-পাখালি.. এসব ফেলে কে আর বসতে চায় চুপটি মেরে? প্রতিদিন কি আর এসব মেলে? ওদিকে নাগরদোলার লাইন কেবল বেড়েই চলছে...
অতিথি জাফর ইকবাল নিজেই মাইক হাতে তুলে নিলেন: " বন্ধুরা
শোনো, আমার নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আমি তোমাদের সাথে কথা বলতে চাই..."
অবশেষে সম্বিৎ ফিরলো বাছাদের। মঞ্চের সামনে এসে জড়ো হলো মাঠ জুড়ে অদ্ভুতুড়ে ছানাপোনারা। সকালের সেই ঝকঝকে মারতোলা, ভাঁজ ভাঙ্গা পোশাকে নেই কেউই....কারো মাথা ভর্তি বালি, কেউ কাদায় পা ডুবিয়ে কাপড়ের নঁকশা বদলেছে, কারো বা হাতে মুঠো মুঠো হরেক রকমের লতাপাতা, চুলগুলোতে যতসব দুরন্তপনার ছাপ....। ওদিকে কমবেশি সব মায়েদের কাছেই জমা পড়েছে ছানাপোনাদের দেওয়া দু-একটা করে ডাল সমেত কাশফুল, বুনোলতাপাতা, জংলিফুল আরো সব সবুজ হাবিজাবি!
যা হোক শিক্ষা কর্মীদের দক্ষতায় নিমিষেই ছেলেমেয়েরা সংগঠিত হয়ে মঞ্চের দিকে মুখ করে মাঠের মাঝে আয়েশ করে এলিয়ে বসল। শুরুতেই চমৎকার কথোপকথন। বক্তৃতা নয়, কথোপকথনই তো! সহজ পাঠের শিশুদের সামনে কে কবে বক্তৃতা দিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন!? সবুজ হৃদয়ের ছটফটে ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপচারিতার লোভ সামলানো দায়। সেই রেশ ধরেই মুহম্মদ জাফর ইকবাল জানতে চাইলেন- "... যারা প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হলে তাদের অভিনন্দন। কিন্তু মুশকিল হলো যারা এসব কিছুই হলে না তাদেরকে কী বলা যায়?"
কোনো রকম অপেক্ষা না করিয়েই মাঠ থেকে চেঁচিয়ে বাচ্চারা জানালো "... আমরা সবাই লাড্ডুগুড্ডু।" জাফর ইকবাল স্যার যেন কেমন একটা সাহস পেলেন! বললেন, ".. আমিও তো ভাই লাড্ডু গুড্ডুদের দলে। কিন্তু মুশকিল হল যারা আমার মত লাড্ডু খেলে, তাদের জন্য কী বলা যায় তাই ভাবছি। "
নিশ্চিতভাবে জাফর ইকবাল স্যার ভুল জায়গায় আফসোস রেখেছেন। মুহূর্ত সময় না নিয়েই, মাঠের ছোট ছোট দুই টু থ্রি ফোর এর গাড্ডুরাই বেশ করে চেঁচিয়ে উপায় বাতলাতে শুরু করলো -
" শোনো ওদের বলো 'তোমরা সামনে আরো ভালো করবে...।"
আরেকজন পরামর্শদাতা সমান তারস্বরে চেঁচিয়ে জানালো- " ঠিক আছে বলে দাও- 'তোমাদেরকেও অভিনন্দন'..।"
সে এক অদ্ভুত দৃশ্য! ডাকসাইটে বিজ্ঞানী ও লেখিয়েকে অবলীলায় পরামর্শ দিয়ে চলেছে মাঠের পর বসে থাকা ছটফটে সব হরিণছানারা। যা হোক এসব সামলে,ডঃ জাফর ইকবাল জানালেন "যারা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলে, তাদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বই উপহার রেখেছেন কিন্তু যারা; এই আমার মত লাড্ডুগুড্ডু মেরেছো, কিছুই পেলে না, তারা যেন মন খারাপ করো না। যদি বেশি মন খারাপ হয় তাহলে আমাকে মন খারাপ হবার কথা জানিয়ে বড় বড় চিঠি লিখে পাঠাবে...।"
স্যার আরো জানালেন যারা চিঠি লিখবে তাদের তিনি নিজ দায়িত্বে বই উপহার দেবেন।
গল্প এখানেই থামাতে হল, কারণ মাইক তুলে নিয়েছেন মোমেন দাদা। একই ভাবে জানতে চাইলেন, শিশুদের ভালোলাগার কথা, আজকে তাদের কেমন লাগছে ?
শিশুরা
চেঁচিয়ে আকাশ কাঁপিয়ে, হাত নেড়ে,
মাথা ঝাঁকিয়ে, চেঁচিয়ে জানালো- আজ খুউব মজা হয়েছে...ভারী চমৎকার দিন কেটেছে... এমনই একটা বিশাল মাঠসহ ইস্কুল তাদের চাই-ই চাই। চাই, চাই ব্যাস চাই...।
শিশুদের সাথে আনন্দ খবর আরও একবার স্পষ্ট করে জানালেন মোমেন দাদা। ইস্কুলের জন্য কাছের জমিটাই বায়না করা হয়েছে মাঠসহ ইস্কুল পেতে। অভিভাবকসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক সহায়তায়, আশা করা যায় অচিরেই তারা এই জমিটি কিনে, মাঠসহ ইস্কুলের স্বপ্নটিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন। বেশ কয়েকজন উৎসাহী অভিভাবক মঞ্চে এসে সকলের পক্ষে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন এবং অভিনন্দন জানালেন সহজপাঠ
উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষাকর্মীগণকে আজকের মনোরম আয়েজনের জন্য।
ওদিকে সূর্য রঙ বদলে চলেছে দিনভর। আগুন রঙা থেকে লাল রং আর লাল থেকে কমলা হয়ে ফিকে হতে চলল। সেই আভাসে নতুন আরো একটি সূর্যের অপেক্ষা...।
আজকের পালা সাঙ্গ হলে, সব গুছিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষাকর্মীরা পা বাড়ালেন বাড়ির দিকে। শিশু-কিশোররাও গলাগলি করে তাদের পিছু নিল।
মন খারাপ করা গোধূলি লগ্নের সূর্যকে পেছনে ফেলে সবাই এগিয়ে চললো ফিরতি পথে আগামীকালের সূর্যোদয়ের সঙ্গী হতে....
লেখক পরিচিতি:
সামিনা হক শাম্মী
সহকারী অধ্যাপক
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
ই-মেইল :
saminahuq95@gmail.com
১২ নভেম্বর ২০২২
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
ডা. আতাউর রহমান বিস্তারিত
বজলুল করিম আকন্দ বিস্তারিত
বাংলাদেশ মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইম.. বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাাচিত.. বিস্তারিত