যারিন মালিয়াত অদ্রিতা
বাংলাদেশ তার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, নিঃসন্দেহে এটি একটি গৌরবময় এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ১৯৭১ সাল একটি ঐতিহাসিক বছর হিসেবে ইতিহাসে চিত্রিত হয়ে থাকবে। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সাহসের সাথে প্রতিহত করা এবং বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বছর হিসেবে ১৯৭১ পরিচিত হবে সব সময়।
সম্প্রতি পৃথিবী জুড়ে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ, নতুন ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের কারণে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও থমসন
রিভারস ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনে উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি ছিল না।
বিশেষ করে দেশের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা ছিল অনন্য ও
অতুলনীয়।
থমসন রিভারস ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন,
বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে ২০ ডিসেম্বর ২০২১ কোভিডের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে অনুসরণ করে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
সম্মানিত কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। আনন্দময় সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের দিনে ছোট আকারের জাতীয় পতাকা, আকর্ষণীয় মুক্তিযুদ্ধের চিত্রকর্ম এবং সুন্দর পুষ্পস্তবক দিয়ে সমগ্র অডিটোরিয়াম সজ্জিত হয়েছিল একটি উৎসবের চেহারায়। দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এবং সমস্ত সম্মানিত অতিথিদের আন্তরিক উপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় গেরিলাদের অবিসংবাদিত বীরত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানো হয়। কানাডা এবং বাংলাদেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয়।
এরপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের মাধ্যমে নয় মাসের নৃশংস গণহত্যা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় এর দৃঢ়চেতা সন্তানদের অতুলনীয় অবদানের বিষয়টি নিয়ে আসা হয়। দেশাত্মবোধক গান, নাচ, নাটক ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আকর্ষণীয় ভাবে আয়োজিত হয়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন পর্বে
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানকে পরিপূর্ণতা দান
করেন।
আমার চোখে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ছিল আনন্দের কারণ এখানে আমি নিজেকে দেশের জন্য তুলে ধরতে পেরেছি। আবার একই সাথে বেদনার কারণ এখানে মুক্তিযুদ্ধের কষ্টদায়ক স্মৃতিগুলো নস্টালজিক করে তোলে।
বিদেশের মাটিতে দেশকে মর্যাদার সাথে তুলে ধরতে পেরে আমি গৌরব বোধ করি৷ গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পেরে এই কাজ করে আমি আন্তরিক সম্মান অনুভব করি। যে কোনো কাজে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করতে যে বড় ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এই শিক্ষা মুক্তিযুদ্ধ থেকে আমরা পাই।
আমার মনে এই বিশ্বাস ছিল, দেশ থেকে হাজারো মাইল দূরে থেকেও
আমি বাংলাদেশের এই অনন্য অর্জনকে আমার পারফর্মের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারবো। বিভিন্ন সময় নাচ, গান ও উপস্থাপনার মাধ্যমে আমি সেই চেষ্টা করেছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও আনন্দ।
প্রবাসী শিক্ষার্থী, থমসন রিভার ইউনিভার্সিটি, বৃটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (M.. বিস্তারিত
মুস্তাকিম আহমেদ বিস্তারিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পুরো বক.. বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত