হাসিব রেজা
[ মালয়শিয়ার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সাপ্তাহিক `এজ’ সম্প্রতি দেশটির উর্ধমুখী শেয়ার বাজারকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক শেয়ার বাজার পরিস্থিতির সাথে অনেকটাই মিলে যায়। ]
মালয়শিয়ার বর্তমান উর্ধমুখী শেয়ার বাজার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং কোম্পানির আয়ের মন্দার ঠিক বিপরীতে চলছে। মালয়শিয়া এবং আমেরিকা- উভয় ক্ষেত্রেই এটির নেতৃত্বে রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা- যেখানে অনেক পেশাদার সম্পদ ব্যবস্থাপকও এখন নগদ টাকা হাতে বসে আছেন। অধিক মুনাফা লাভে আকৃষ্ট এবং অতি আগ্রহী হয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে আরো অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বাজারে আকৃষ্ট হচ্ছেন।
এটি অধিক তারল্যের কারণে হচ্ছে- বিনিয়োগকারীদের হাতে বিনিয়োগ করার মতো অতিরিক্ত টাকা আছে। রাতারাতি পলিসি রেট ১.৭৫% কমে যাওয়ায়, যা ইতিহাসে সর্বনিম্ন, বিনিয়োগকারীরা আরো ঝুঁকি নিতে উৎসাহিত হচ্ছে। বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুদের হার নিম্ন স্তরে ঠেলে দেওয়ার পর আবার বাজারে স্পেকুলেশন ফিরে আসছে।
গৃহস্থালী ব্যয় ছাড়াও, একটি দুর্বল অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে বেসরকারি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটোই পড়ে গিয়েছে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই, যা নতুন বিনিয়োগের জন্য অনুকূল নয়। ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রচুর অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। মানুষ খরচ বা বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিতে টাকা পুনঃসঞ্চালন করছে না। একমাত্র নিম্ন আয়ের মানুষরাই তাদের ব্যয় সীমিত করছে না, বরং মধ্য এবং উচ্চ আয়ের মানুষরাও এই অনিশ্চিয়তার সময়ে তাদের ব্যয় সংকোচন করছে। বাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। অর্থনীতিতে গতি আনার জন্য দৈনন্দিন ভোগের পরিমাণ অব্যাহত রাখতে হবে। অর্থ পুনঃসঞ্চালনের গতি কম হলে অর্থনীতি ধীরভাবে পুনরুদ্ধারের পথে যায়, কারণ মানুষ ভোগ্যপণ্যের পেছনে যথেষ্ট পরিমাণ খরচ করে না।
শেয়ার বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিক অংশগ্রহণের ফলে শেয়ারের বাজারমূল্য অন্তর্নিহিত মূল্যের তুলনায় অস্বাভাবিক হারে বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। কোয়ানটিটেটিভ ইজিং, কম সুদের হার এবং সরকারের প্রণোদনামূলক তহবিল ব্যয় থেকে উদ্ভূত বাজার তারল্যের একটি বড় অংশ শেয়ার বাজারে আসার কারণে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। শেয়ারের বাজারমূল্যে অন্তর্নিহিত মূল্যের প্রতিফলন নাও হতে পারে। বিনিয়োগকারীরা অতিরিক্ত আশাবাদী, যদিও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অনিশ্চিত এবং মহামারী এখনো শেষ হয়নি। শেয়ারমূল্য মৌলিক ভিত্তি দ্বারা সমর্থিত হতে হবে- যেমন কোম্পানির আয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনার সাথে সম্পর্কিত। যদি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তার সাথে সাথে কোম্পানিগুলোর আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এটা কম সুদের হার, অতিরিক্ত তারল্য এবং স্পেকুলেটিভ আচরণের সাময়িক প্রভাবের তুলনায় আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে। দীর্ঘমেয়াদে প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি হচ্ছে কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ এবং উৎপাদন সক্ষমতা সম্প্রসারণের জন্য মূলধন বৃদ্ধি করা, যা ভবিষ্যতে আয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের শেয়ারমূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
লেখক পরিচিতি
হাসিব রেজা
হেড অফ রিসার্চ
ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (M.. বিস্তারিত
মুস্তাকিম আহমেদ বিস্তারিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পুরো বক.. বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত