পর্ব : ০১
বিশ্বের বেশিরভাগ কোম্পানির জন্য ২০২০ সালটি এসেছে একটি চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে, তবুও কিছু কোম্পানি প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সফল হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন পরীক্ষা দিয়ে; প্রযুক্তি কোম্পানি হোম অফিস বা বাড়ি থেকে কাজের প্রচলন করায় এবং খুচরা বিক্রেতারা অনলাইনে প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।
অত্যন্ত শক্তিশালী শেয়ার বাজার,যা অনেকের মতে একটি বাবল,পাবলিক কোম্পানিগুলোর অনুকূলে ছিল। মহামারীতে সাফল্য অর্জনকারী কোম্পানিগুলো এখানে বাজার মূল্য (মার্কেট ক্যাপিটাল) বৃদ্ধির ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। প্রথম পর্বে স্থান পেয়েছে প্রথম পঁচিশটি কোম্পানির
প্রোফাইল।
১. অ্যামাজন
সেক্টর: ই-কমার্স
সদর দপ্তর: সিয়াটল, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৪০১.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার
অ্যামাজন আশা করছে যে করোনাভাইরাস সংকটের সময় লজিস্টিক সচল রাখতে তারা ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করতে পারে।
যখন বিশ্ব নেতারা তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার অর্ডার দেয়, অতি জরুরি গৃহস্থালী পণ্য মজুদকারীদের জন্যে অ্যামাজন প্রধান উৎসে পরিণত হয়। যার ফলে কোম্পানিটি তাদের গুদামে "অপরিহার্য নয়" এমন সামগ্রী মজুদ করা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়, কিন্তু খরচও অনেক বৃদ্ধি পায়। প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস সতর্ক করেছেন যে, ভাইরাস প্রতিরোধে যেমন ল্যাব এবং থার্মাল ক্যামেরা পরীক্ষা করা চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা যেতে পারে, - যা ২০১৫ সালের পর অ্যামাজনকে প্রথম বারের মতো ত্রৈমাসিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। তা সত্ত্বেও অনলাইন কেনাকাটার দ্রুত চাহিদা বৃদ্ধি এবং দূর থেকে কাজের যুগে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ফলে অ্যামাজন স্টক সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছে।
২. মাইক্রোসফট
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: রেডমন্ড, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ২৬৯.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার
৭৫ মিলিয়ন মানুষ এপ্রিল মাসে একদিনে টিমস কমিউনিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করেছে, যা ২০১৯ সালের শেষের দিকে ২০ মিলিয়ন ছিল।
সত্য নাদেল্লার অধীনে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসায় মনোনিবেশ করে মাইক্রোসফট এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হয়েছে যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘর থেকে কাজ করছে। টিমস কমিউনিকেশন অ্যাপ কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখার একটি উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম অনেক কোম্পানির জন্য ডিজিটামেরুদণ্ডের একটি আরো গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এমনকি মাইক্রোসফটের খুচরা ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করে। এপ্রিলে এক্স-বক্স লাইভ গেমিং সার্ভিসের ৯০ মিলিয়ন নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়।
৩. অ্যাপল
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: কুপারটিনো, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ২১৯.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার
আইফোন নির্মাতা তার সমস্ত খুচরা দোকান বন্ধ করা সত্ত্বেও মার্চ ত্রৈমাসিকে ৫৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে।
যদিও বিশ্বব্যাপী অ্যাপল ৫০০টি দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হয়, প্রথম ত্রৈমাসিকে আয় স্থিতিশীল ছিল ব্যাপক অনলাইন বিক্রির কারণে। অ্যাপল একটি নতুন আইফোন, আইম্যাক এবং ম্যাকবুক এয়ার প্রকাশ করে নতুন ব্যবহারকারী আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাপলের নির্বাহীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে কিছু পণ্যের বিক্রি আরও ত্বরান্বিত হবে, কারণ বাড়ি থেকে কাজ করা লক্ষ লক্ষ ভোক্তা তাদের ইলেকট্রনিক্স আপগ্রেড করার সিদ্ধান্ত নেবে। বিনিয়োগকারীরা অ্যাপলকে প্রথম ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কোম্পানির মর্যাদা দিয়েছে।
৪. টেসলা
সেক্টর: অটোমোবাইল
সদর দপ্তর: পালো আল্টো, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ১০৮.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার
ঘণ্টায় ৪০২ মাইল চলা টেসলার সাম্প্রতিক মডেল ‘এস’ এর গতিসীমা তার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
ব্যাটারি চালিত গাড়ির জন্য মার্কেট লিডার, টেসলা পুরান প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যখন প্রতিদ্বন্দ্বীরা কারখানা এবং নিখুঁত সফটওয়্যারের জন্য সংগ্রাম করছে। এদিকে, প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক ব্যয়বহুল স্বচালিত রবো ট্যাক্সির পুরো মডেলটি তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক পহেলা মে টুইট করেছেন ‘টেসলার শেয়ারের দাম অনেক বেশি"। তারপর থেকে শেয়ারের মূল্য আরো বৃদ্ধি পায়।
৫. টেনসেন্ট
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: শেনঝেন, চায়না
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৯৩.০ বিলিয়ন ইউএস ডলার
অনলাইন গেমিং বিক্রয় প্রথম ত্রৈমাসিকে ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
বাড়িতে বিচ্ছিন্ন চীনা নাগরিকরা টেনসেন্টের ভার্চুয়াল জগতের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এর হিট গেম ‘অনার অফ কিংস’ এর নতুন অস্ত্র এবং পোশাকের জন্যে ব্যবহারকারীরা অর্থ ব্যয় করেছে। টেনসেন্টের ভিডিও গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ১১২ মিলিয়ন, এর মিউজিক স্ট্রিমার ৪৩ মিলিয়নে পৌঁছায় এবং তাদের সোশাল মিডিয়া অ্যাপ উইচ্যাট যা নুডুলস কেনা এবং করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য যাচাইয়ের জন্য অপরিহার্য -এর মাসিক ব্যবহারকারী ১.২ বিলিয়ন পৌছায়। টেনসেন্ট কোম্পানি সমূহের ক্রমহ্রাসমান মূল্যের সুযোগ নিয়েছে: এটি সম্প্রতি নরওয়েজিয়ান গেম ডেভেলপার ফানকম অধিগ্রহণ করেছে, জার্মান ডেভেলপার ইয়াগারের একটি অংশ ক্রয় করেছে এবং ফিনটেক স্টার্ট-আপের একটি সারিতে মূলধন বিনিয়োগ করেছে।
৬. ফেসবুক
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: মেনলো পার্ক, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৮৫.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার
বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
মহামারীর সময় ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ব্যবসায় ক্ষতি পূরণ হয়েছে ২.৬ বিলিয়ন বিনোদন-ক্ষুধার্ত ব্যবহারকারীর এই প্ল্যাটফর্মে বেশি সময় কাটানোর কারণে। ছোট ব্যবসায়ী বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ফেসবুকের ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে, বিজ্ঞাপন প্রকাশ বৃদ্ধি পায়। কোম্পানি নতুন ভিডিও চ্যাট এবং লাইভস্ট্রিম বৈশিষ্ট্য চালু করেছে, পাশাপাশি ফেসবুক শপ নামে একটি ই-কমার্স সেগমেন্ট চালু করেছে। যাইহোক, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কারণে ফেসবুকের বিষয়বস্তু কনটেন্ট মডারেশন বেড়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভ্রান্তিকর বিবৃতি বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন।
৭. এনভিডিয়া
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: সান্তা ক্লারা, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৮৩.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার
লকডাউনে এনভিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে গেম খেলা ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স চিপস গেমিং মেশিন এবং মেশিন লার্নিং সিস্টেমের একটি প্রধান অবলম্বন হয়ে উঠেছে, যা কোম্পানিকে সবচেয়ে খারাপ মন্দা থেকে বাঁচিয়েছে। চীনে ইন্টারনেট ক্যাফে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গেমিং চিপস বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেছে, অন্যদিকে এনভিডিয়ার বড় গ্রাহক অটোমোবাইল শিল্পের বিক্রি কমে গেছে। কিন্তু এনভিডিয়ার নতুন গ্রাফিক্স কার্ড বিক্রি ইকমার্সের সাহায্যে বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সাথে অনলাইন গেমিং এর দিকে ঝুঁকেছে গ্রাহকরা। ইন্টারনেট কোম্পানিগলোর ডাটা সেন্টার চিপসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলেজেনস বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাদের সেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে এবং সামগ্রিক ডিজিটাল কার্যকলাপ বাড়ছে।
৮. অ্যালফাবেট
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: মাউন্টেন ভিউ, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৬৮.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার
মার্চের শেষে বিজ্ঞাপন আয় কমলেও ইউটিউবের আয় প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদিও এই সংকটে অনলাইন বিজ্ঞাপন দ্রুত হ্রাস পেয়েছে, প্রাথমিক লক্ষণ বলছে যে অ্যালফাবেট বিস্ময়কর স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। ভ্রমণ এবং স্থানীয় পরিষেবার মতো খাতগুলো হয়তো শুকিয়ে গেছে, কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে গুগল- যা আলফাবেটের প্রায় সকল রাজস্ব সরবরাহ করে- তারা জানিয়েছে যে চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ভাবে ধরে রেখেছে। মার্চের শেষের দিকে তলানিতে স্পর্শ করার পর বিজ্ঞাপন ব্যবসা এই সঙ্কটের মধ্যেই স্থিতিশীল হতে দেখা যায়। গুগল ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম, মিট ভিডিও অ্যাপ এবং প্লে অ্যাপ স্টোর অনলাইনে কাজ এবং বিনোদন করার প্রবণতা থেকে উপকৃত হয়েছে৷
৯. পেপ্যাল
সেক্টর: পেমেন্ট
সদর দপ্তর: সান জোস, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৬৫.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার
এপ্রিলে নতুন ব্যবহারকারী ৭.৪ মিলিয়ন।
শারীরিক স্টোরগুলিতে যোগাযোগহীন পেমেন্ট পরিচালনা করতে ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সক্ষমতা তৈরি করে, অনলাইন পেমেন্টের অগ্রদূত, পেপ্যাল, এই মহামারীতে ক্রমবর্ধমান প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেয়েছে । পেপ্যাল মার্কিন ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসনের পে-চেক সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ফেডারেল ঋণ হস্তান্তর করে। প্রাক-করোনাভাইরাস সময়েই এর মানি ট্রান্সফার অ্যাপ ভেনমো ছিল জনপ্রিয়, দৈনন্দিন ছোট-খাট লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য। এখন কোম্পানি বলছে, এটি বৃহত্তর লেনদেন করছে - যেমন সামাজিক দূরত্বের কারণে মা এবং বাবা থেকে টাকা নেয়া। এছাড়া পণ্য এবং সেবার জন্য অ্যাপ দিয়ে অর্থ প্রদান বৃদ্ধি পেয়েছে যা অন্যথায় নগদ অর্থ প্রদান করা হতো।
১০. টি-মোবাইল
সেক্টর: টেলিযোগাযোগ
সদর দপ্তর: বেলভিউ, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৫৯.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার
টি-মোবাইল প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪৫২,০০০ পোস্টপেইড ফোন গ্রাহক যুক্ত করেছে।
মার্কিন ওয়্যারলেস কোম্পানি লকডাউন, যা মানুষকে সংযোগের জন্য তাদের ফোনের উপর আরো নির্ভরশীল করে তুলেছে, তা থেকে উপকৃত হয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি স্প্রিন্টের সাথে তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মার্জার বা একত্রীকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এই চুক্তি টি-মোবাইল কে এটিটি এবং ভেরিজনের পরে মার্কিন টেলিকম বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি করে তোলে এবং বড় ফোন কোম্পানিগুলোকে আরো মূল্য ক্ষমতা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১১. পিনডুওডুও
সেক্টর: ই-কমার্স
সদর দপ্তর: সাংহাই, চায়না
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৫৫.২ বিলিয়ন ইউএস ডলার
এর প্ল্যাটফর্মে ক্রেতা বেড়ে ৬২৮ মিলিয়ন হয়েছে।
যখন কোটি কোটি চীনা নাগরিক শপিং মলে যাওয়ার বদলে তাদের স্মার্টফোন থেকে কেনাকাটা করেছে, তখন ই-কমার্স পিনডুওডুও উপকৃত হয়েছে। যখন অতি-সস্তা পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, কোম্পানির প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং প্রথম ত্রৈমাসিকে রাজস্ব ৪৪ শতাংশ বাড়ে। পিনডুওডুওর বার্ষিক ক্রেতার সংখ্যা দ্রুত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আলিবাবার ক্রেতা সংখ্যার (৭২৬ মিলিয়ন) কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।
১২. নেটফ্লিক্স
সেক্টর: মিডিয়া
সদর দপ্তর: গ্যাটস, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৫৫.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার
প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষে ১৮৩ মিলিয়ন গ্লোবাল সাবস্ক্রাইবার, যা এক বছর আগের থেকে ২৩ শতাংশ বেশি।
নেটফ্লিক্স বছরের প্রথম তিন মাসে যা পূর্বাভাস করেছিল তার দ্বিগুণ গ্রাহক যুক্ত করেছে, যেহেতু বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস টাইগার কিং, লা কাসা দে পাপেল এবং লাভ ইজ ব্লাইন্ড-এর মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গৃহবন্দি দর্শকদের বিনোদন দেয়। সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি এসেছে ইওরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা থেকে, এই তিন অঞ্চলে নেটফ্লিক্স প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রায় ৭.০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত করেছে। মফেটনাথানসনের বিশ্লেষক মাইকেল নাথানসন বলেন, কোম্পানিটি একটি ‘নিখুঁত ঝড়’ উপভোগ করছে। ‘বর্তমান পরিস্থিতি যতো দীর্ঘস্থায়ী হবে, ততই নেটফ্লিক্স সুবিধা পাবে।’
১৩. মিতুয়ান ডায়ানপিং
সেক্টর: ই-কমার্স
সদর দপ্তর: বেইজিং, চায়না
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৫৩.৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে খাদ্য সরবরাহের আদেশ তাদের প্রাক-মহামারী মাত্রার ৯০ শতাংশে ফিরে আসে।
চীনের ‘এভরিথিং অ্যাপ’ দেশটির লকডাউন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লকডাউনে অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকে। তাই খাবার সরবরাহ - মিতুয়ান ডায়ানপিং এর ব্যবসার বৃহত্তম অংশ- বন্ধ ছিল। এর ফলে কোম্পানি প্রথম ত্রৈমাসিকে ক্ষতির মুখে পড়ে। কিন্তু মে মাস নাগাদ খাদ্য সরবরাহ এবং ভ্রমণ বুকিং পুনরায় শুরু হলে কর্মকর্তারা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট গুলো ‘ক্যানিবালিলাইজেশন’ এবং ‘খারাপ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা’ থেকে বাঁচতে, তাই তারা খাবার সরবরাহের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেতে বাধ্য হয়। কোম্পানির গড় অর্ডার মূল্য প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং অনেক ডেলিভারি-ম্যান নির্দিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে সরবরাহ শুরু করে, এতে তাদের সময় বাঁচে এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
১৪. শপিফাই
সেক্টর: ই-কমার্স
সদর দপ্তর: অটোয়া, কানাডা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৫১.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার
গত ছয় সপ্তাহের তুলনায় ১৩ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৬২ শতাংশ বেশি নতুন শপিফাই স্টোর তৈরি হয়েছে।
শপিফাই গত বছর ইবে অধিগ্রহণ করার মধ্যমে আমেরিকার শেয়ার বাজারে আমাজনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি হয়ে ওঠে। শপিফাই বিশ্বব্যাপী বছরে ৬১ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য সরবরাহ করে। এই মহামারীতে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। যেসব কোম্পানি এই পরিবর্তন থেকে সুবিধা গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে শপিফাই অন্যতম। কম্পানির মূল্য ২০২০ সালের শুরু থেকে দ্বিগুণ হয়েছে । অলবার্ডসের মতো স্টার্ট-আপ কোম্পানি থেকে শুরু করে হাইঞ্জ এর মতো গ্লোবাল কোম্পানি, এরকম হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান শপিফাই সফটওয়্যার এবং সেবা ব্যবহার করে, আমাজনের মতো কোম্পানিকে পাশ কাটিয়ে, গ্রাহকদের কাছে সরাসরি পণ্য বিক্রিয় করে।
১৫. জুম ভিডিও
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: সান জোস, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৪৭.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার
জুম ভিডিও কল অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা এপ্রিল মাসে দিনে ৩০০ মিলিয়ন পৌঁছে।
ভিডিও কনফারেন্সিং কোম্পানি ২০২০ সালে ঘর থেকে কাজ করার ব্যাপক প্রচলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়, করনাভাইরাস সংকটে জুম একটি প্রয়োজনীয় অ্যাপ হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ী নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যবসাকেন্দ্রিক অ্যাপ নিয়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু এটি জুমকে একটি ঘরোয়া নামে পরিণত করে। বৃহত্তর ব্যবহারের ফলে এর নিরাপত্তা বিলোপের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল এবং কিছু সংস্থা তাদের কর্মীদের এটি ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করেছিল, কিন্তু এই বিতর্ক জুমের ব্যবসাকে ক্ষতি করতে পারেনি। এপ্রিলের শেষে জুম ব্যবহার করে এমন মাঝারি ও বড় কোম্পানির সংখ্যা গত এক বছরের তুলনায় তিনগুণ বাড়ে, অন্যদিকে রাজস্ব ১৬৯ শতাংশ বেড়েছে।
১৬. জেডি.কম
সেক্টর: ই-কমার্স
সদর দপ্তর: বেইজিং, চায়না
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৪৪.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার
প্রথম ত্রৈমাসিকে রাজস্ব ২১ শতাংশ বেড়েছে।
জানুয়ারির শেষের দিকে যখন চায়নায় লকডাউন শুরু হয়, তখন জেডি.কম ছিল একমাত্র ই-কমার্স কোম্পানি যা নির্ভরযোগ্যভাবে প্যাকেজ সরবরাহ করে। এর লাল, তিন চাকার ডেলিভারি গাড়ি শহরের রাস্তায় রয়ে গেছে যখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলিবাবা এবং পিনডুওডুও ক্যুরিয়ার সন্ধানের জন্য অপেক্ষা করেছে । ১৮ ই জুন তার বার্ষিক শপিং বোনান্সার একই দিনেই হংকং-এ কোম্পানির ট্রেডিং অভিষেকে এর শেয়ার প্রায় ৬ শতাংশ বাড়ে, কারণ এ বছর বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ার বিক্রয় সম্পন্নের মাধ্যমে জেডি.কম প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে।
১৭. অ্যাডোবি
সেক্টর: সফ্টওয়্যার
সদর দপ্তর: সান জোস, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৪০.১ বিলিয়ন ইউএস ডলার
অ্যাডোবির সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ারকৃত পিডিএফ ডকুমেন্টের সংখ্যা এক বছর আগের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রথম বড় সফটওয়্যার কোম্পানি হয়ে তার ব্যবসা ক্লাউডে স্থানান্তরিত করার পর, আরো নির্ভরযোগ্য সাবস্ক্রিপশন আয়ের জন্য ওয়ান-অফ পণ্য বিক্রয় বন্ধ করে, অ্যাডোবি মহামারী থেকে তেমন কোনো বিঘ্নের সম্মুখীন হয়নি । এছাড়াও এটি ঘর থেকে কাজের যুগের জন্য ভালো অবস্থানে রয়েছে। এপ্রিলের শেষে এটি রিপোর্ট করেছে, যে বিষয়বস্তু তৈরির জন্য তার ক্লাউড সার্ভিসে কার্যকলাপ বেড়েছে- যা ফটোশপের মতো পণ্য এবং ডিজিটাল ডকুমেন্টে ভিত্তিক ওয়ার্কফ্লো সরঞ্জাম থেকে।
১৮. অডি
সেক্টর: অটোমোবাইল
সদর দপ্তর: সান জোস,আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
৪.৬ বিলিয়ন ইউরো - ২০১৯ সালে অডির পরিচালন মুনাফা।
কোভিড-১৯ গাড়ির ব্যবসাকে জোরে আঘাত করে। ফলে, ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে তার মুনাফার মার্জিন প্রায় শূন্যে নেমে আসে। কিন্তু যেসব বিনিয়োগকারী ০.৩৬% শেয়ার পাবলিক মার্কেটে ট্রেড হওয়া অডির স্টকে বিনিয়োগ করেছেন, গত কয়েক মাস তাদের জন্যে ছিল একটি উৎসবের মতো। বছরের শুরুতে ৮০০ ইউরোতে ট্রেড হওয়া অডির শেয়ারের দাম বাড়ছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে, যখন পেরেন্ট কোম্পানি ভিডাব্লিউ ঘোষণা করে যে তারা অবশিষ্ট শেয়ার বাজার থেকে কিনবে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে, ভিডাব্লিউ নিশ্চিত করে যে তারা কোম্পানির পরবর্তী এজিএম-এ অনুমোদন সাপেক্ষে বকেয়া শেয়ার প্রতি ১,৫৫১.৫৩ ইউরো প্রদান করবে।
১৯. এবিভি
সেক্টর: ফার্মাসিউটিক্যাল
সদর দপ্তর: শিকাগো, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩৭.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার
মে মাসে অ্যালার্গানের ৬৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির জন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ছাড়পত্র পেয়েছে।
কসমেটিক চিকিৎসা থেকে শক্ত নগদ প্রবাহ সুরক্ষিত, তাই অ্যাবভির অ্যালার্গান কিনতে চাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বোটক্স। উদ্বেগ ছিল যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণে, বিক্রয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু যেহেতু প্লাস্টিক সার্জনরা ক্লিনিক খুলতে শুরু করেছেন, বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে তৃতীয় প্রান্তিকের মাঝামাঝি সময়ে বোটক্স বিক্রি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বিক্রিত ওষুধ হুমিরার পেটেন্ট সুরক্ষা হারানো সত্ত্বেও, অঙ্কোলজি এবং সোরিয়াসিস সহ আরও চারটি ওষুধের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে, তাই বিনিয়োগকারীরা ‘স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি’ এবং একটি ভালো লভ্যাংশের আশায় এই শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে।
২০. কুইচো মৌতাই
সেক্টর: পানীয়
সদর দপ্তর: জুনিয়া, চায়না
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩৫.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার
ধারাবাহিকভাবে ৯০ শতাংশের উপরে লাভের মার্জিন বজায় রাখে।
চায়নার সবচেয়ে বিখ্যাত ডিস্টিল স্পিরিট নির্মাতা কুইচো মৌতাই চীনা অর্থনীতি পুনরায় খোলার ফলে উপকৃত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। যদিও স্পিরিট ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য একটি লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে, সরবরাহের ঘাটতি একটি অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি করছে। ডিস্টিলার ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বার্ষিক উৎপাদন মাত্র ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে, যদিও চীনের ধনী জনসংখ্যা, মুতাই-এর প্রধান ভোক্তা, একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
২১. চুগাই ফার্মাসিউটিক্যাল
সেক্টর: ফার্মাসিউটিক্যাল
সদর দপ্তর: টোকিও, জাপান
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩৩.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার
প্রথম প্রান্তিকে গ্লোবাল হেমলিব্রার বিক্রি ১৪৬ শতাংশ বেড়েছে।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক রোচের জাপানি ইউনিট রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ড্রাগ অ্যাক্টেমরার উৎপাদক, যা গুরুতর অসুস্থ করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য একটি সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাইহোক, এই মহামারী শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির একমাত্র অনুঘটক নয়। হেমলিব্রা বিক্রি বৃদ্ধির ফলে প্রথম ত্রৈমাসিকে চুগাইয়ের মুনাফা ৫৭ শতাংশ বেড়েছে, যা কোম্পানিটিকে জাপানের সবচেয়ে মূল্যবান ওষুধ কোম্পানিতে পরিণত করেছে।
২২. আলিবাবা
সেক্টর: ই-কমার্স
সদর দপ্তর: হ্যাংঝু, চায়না
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩২.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার
আলিবাবার ক্লাউড ইউনিট প্রথম প্রান্তিকে ৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
চিনের ইকমার্স জায়ান্টের টিমল এবং তাওবাও অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলিতে মানহীন কুরিয়ার অংশীদারদের চাপের মধ্যে প্রথম ত্রৈমাসিকে বিক্রিতে স্থিতিবস্থা দেখা দেয়। যাইহোক, অন্যান্য ব্যবসায়িক ইউনিট যেমন ক্লাউড কম্পিউটিং এবং মুদি বছরে ২২ শতাংশ বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করেছে। এখন, কুরিয়াররা তাদের কাজে ফিরে এসেছে এবং এর লক্ষ লক্ষ বিক্রেতা ফিরে এসেছে, হ্যাংঝু ভিত্তিক কোম্পানিটি করোনাভাইরাস-প্ররোচিত সতর্কতার পুরোপুরি লাভ নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৩. সি গ্রুপ
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: সিঙ্গাপুর
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩১.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার
স্ব-উন্নত গ্লোবাল গেম ফ্রি ফায়ার ২০২০ এর প্রথম প্রান্তিকে দৈনিক 80 মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীর রেকর্ড তৈরি করেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম তালিকাভুক্ত প্রযুক্তি কোম্পানি দুটি করোনা ভাইরাসের প্রভাব মুক্ত খাত গেমিং এবং ই-কমার্স থেকে তার বেশিরভাগ রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। মার্চ ত্রৈমাসিকের হিট গেম ফ্রি ফায়ারের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে, ডিজিটাল চ্যানেলে ভোক্তাদের স্থানান্তর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং তাইওয়ানে তার ক্ষতিগ্রস্থ ই-কমার্স ব্যবসার বিক্রি বাড়ায়।
২৪. দ্য হোম ডিপো
সেক্টর: খুচরা ব্যবসা
সদর দপ্তর: আটলান্টা, আমেরিকা
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ৩১.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার
প্রথম ত্রৈমাসিকে হোম ডিপোর ১৪টি বিভাগের মধ্যে ১১টি তে বিক্রি বেড়েছে।
যদিও খুচরা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি স্টোর বন্ধ এবং ভোক্তাদের ব্যয় হ্রাস নিয়ে সংকটে পড়েছে, দ্য হোম ডিপো এমন একটি কোম্পানি যার বিক্রিয় ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে । মার্কিন কর্তৃপক্ষ কোম্পানির মেগাস্টোরগুলিকে মহামারী জুড়ে উন্মুক্ত থাকতে দেয় কারণ তারা যে সমস্ত সরঞ্জাম যেমন ওয়াটার হিটার, রেফ্রিজারেটর এবং বৈদ্যুতিক এবং প্লাম্বিং গিয়ার স্টোর করে তা বেশিরভাগ বাড়ির জরুরী পন্য। আমেরিকানরা তাদের বসবাসের স্থান আপগ্রেড করছে, আরো আসবাবপত্র, সাজসজ্জা এবং আলোকসজ্জা কিনছে, অন্যদিকে আরো ডিআইওয়াই প্রকল্প গ্রহণ করছে, ফলে সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে।
২৫. এএসএমএল
সেক্টর: প্রযুক্তি
সদর দপ্তর: ভেলধোভেন, নেদারল্যান্ডস
বাজার মূলধন বৃদ্ধিঃ ২৭.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার
২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে এএসএমএলের গবেষণা ব্যয় ছিল ৫৪৪ মিলিয়ন ইউরো, এক বছরে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
চিপ তৈরির জন্য ফটোলিথোগ্রাফিতে আধিপত্য, ডাচ কম্পানিটিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মকাবেলা করতে সাহায্য করেছে। চরম আল্ট্রাভায়োলেট লাইটের ব্যবহারে অগ্রগতির ফলে এএসএমএলের মেশিনগুলি চিপ প্রতি অধিক সংখ্যক সার্কিট সংশ্লেষ করতে পারে – এটি "ইন্টারনেট অফ থিংস", এআই এবং ফাইভ জি যোগাযোগের অগ্রগতির চাবিকাঠি।
পরবর্তী কোম্পানিগুলো সম্পর্কে
ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে
সূত্র: ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ টিম
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (M.. বিস্তারিত
মুস্তাকিম আহমেদ বিস্তারিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পুরো বক.. বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত