জসীম উদ্দিন রাসেল
বছরের শেষ দিকে এসে করোনা টীকা মানুষের
মধ্যে আশার আলো ছড়িয়েছে। আমেরিকাতে টীকা দেওয়ার পর পশ্চিমের আরো কয়েকটি দেশে টীকা
কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেই জানুয়ারী মাসে টীকা আসার কথা শোনা যাচ্ছে। মানুষ যখন অপেক্ষা করছে টীকার
জন্য তখন নতুন করে আবার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে
নতুন যে ভাইরাস আক্রমণ করছে তা ৭০ শতাংশ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে।
২০১৯ সাল পার করে যখন বিশ্ব ২০২০-এ
প্রবেশ করে তখন সবাই এই সালটিকে ঘিরে অনেক উচ্ছ্বসিত ছিলেন। অনেক প্ল্যান
করেছিলেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ মাসের পর
মাস গৃহবন্দী হয়ে পড়ে।
সকল ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য একদম বন্ধ হয়ে
যায়। আয় বন্ধ হয়ে যায়। রাতারাতি এই অবস্থার কারণে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে, আবার
যাদের চাকরি ছিল তারা বেতন কম পেয়েছেন। অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে না পেরে শহর ছেড়ে
গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। এই দৃশ্য নিয়মিত মিডিয়াতে এসেছে। মানুষ এক চরম অনিশ্চিত
অবস্থায় ২০২০ পার করেছে।
চাকরিজীবীর পাশাপাশি যারা দিন এনে দিন
চলেছেন তারা পড়েছেন বেশি বিপদে। কারণ তাদের তেমন জমানো টাকা থাকে না। তারা
কয়েকদিনের মধ্যেই আর্থিক টানাটানির মধ্যে পড়েছেন। মানুষ ঘরে বসে থাকার কারনে
পরিবহন, খাবারের দোকান, পর্যটন খাত সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এই খাতের সাথে যারা জড়িত
ছিলেন তারা শুরু থেকেই কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
লকডাউনের শুরুতেই যে খাত সবচেয়ে বেশি
আলোচনায় ছিল তাহলো পোশাক খাত। জানা যায়, ১৮ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার
তৈরি পোশাক রপ্তানির আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার নামি
ব্র্যান্ডগুলো বলেছে, মানুষ নতুন করে আর পোশাক কিনছেন না। এখন তাদের বিক্রি যদি
থেমে যায় তাহলে তারা নতুন করে কিনবে না এটাই স্বাভাবিক।
পোশাক খাতে লাখ লাখ কর্মী অল্প পারিশ্রমিকে
কাজ করেন। নিজেরা কোনো রকমে মাস চালিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠান তাদের পরিবারের খরচ
চালাতে। তাদের মাসিক আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে সঞ্চয়ের পরিমাণ খবুই কম। আবার নাও
থাকতে পারে। বলা যায়, তাদেরকে প্রতি মাসেই টানাটানির মধ্যে চলতে হয়।
বাংলাদেশের পোশাকের বাজার হলো ইওরোপ ও
আমেরিকা। সেখানে প্রায় সব কিছুই কার্যত বন্ধ ছিল
যার প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশে। তাদের সাথে অন্যান্য দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এয়ারলাইন্সগুলো বলেছে, তারা সরকারের অর্থ
সাহায্য ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। কিছু এয়ারলাইন্স তাদের কর্মীদের বিনা বেতনে
ছুটিতে যাওয়ার জন্য বলেছে। নিউ ইয়র্ক যে শহর কখনো ঘুমায় না বলে মানুষ এতোদিন দেখে
এসেছে সেই শহরের একটি জন-মানবহীন ফাঁকা ছবি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশেও ব্যস্ত ঢাকার দিনের বেলায় প্রায় ফাঁকা ছবি
পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর মানুষ
তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে। এতে করে ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। আন্তঃজেলা
বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহন খাতের শ্রমিকদের অবস্থা পোশাক খাতের কর্মীদের
থেকেও নাজুক হবে। পোশাক খাতের কর্মীরা মাসিক ভিত্তিতে বেতন পান আর পরিবহন শ্রমিকরা
পান দৈনিক ভিত্তিতে। যারা দিন এনে দিন চলেন তাদের সঞ্চয় একদম থাকে না বললেই চলে।
পরিবহন শ্রমিক ছাড়াও যারা এমন দৈনিক ভিত্তিতে আয় করে চলেন তারা তাদের সংসার চালাতে
হিমশিম খেতে হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে ঘরে বসে থাকতে হবে তাই
অনেকেই তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এর
প্রভাব পড়েছে এসব জিনিসপত্রের দামের উপর। কিছু কিছু পণ্য আবার টাকা দিয়েও তখন
পাওয়া যায় নি। যেমন, স্যনিটাইজার। তবে এ অবস্থা শুধু আমাদের দেশেই না ইওরোপ-আমেরিকাতেও
দেখা গেছে। টেসকো, সেইন্সবারি’স এবং আসডা একটা আইটেম তিনটার বেশি কেনা যাবে
না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা
বেড়ে গেলেও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। ঢাকার বড় বড় শপিং মলে গিয়েও এ চিত্র
দেখা গেছে। একই সমস্যায় পড়েছে বৃটিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছে, তাদের পক্ষে বেশি দিন টিকে
থাকা সম্ভব না। আমেরিকাও নাগরিকদের অর্থ সাহায্য দিয়েছে। ঘরে বসে তারা চেক পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতি
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে আমেরিকা এবং
চায়না সারা বছর ধরেই আলোচনায় ছিল। কিছু সময় এমনও শোনা গিয়েছে, চায়না থেকে এই ভাইরাস
উৎপত্তি হয়েছে এবং আরেএ কারণে এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পিছনে তাদের হাত
রয়েছে। এতো বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য অবশ্যই চায়নাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে
শেষ পর্যন্ত সেই দাবি আর জোড়ালো হয়নি।
বিভিন্ন দেশই তাদের অর্থনৈতিক, সামজিক
অবস্থা মোকাবিলায় বিপর্যস্ত ছিলেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর
কান্নারত ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও মাত্র কয়েকটি দেশে টীকা দেওয়
শুরু হয়েছে।
করোনার আগে ট্রাম্পের কারনণ চায়নার সাথে
যে বাণিজ্যিক যুদ্ধ চলছিল তা শুরু থেকেই সমালোচনা হয়ে আসছিল। ট্রাম্পের প্রধান
অভিযোগ ছিল চায়না তাদের তথ্য চুরি করছে। চায়না-আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু দুই
দেশ না অন্যান্য দেশকেও প্রভাবিত করছিল।
চার বছর পরে জো বাইডেন এবং ট্রাম্পের
নির্বাচনী দৌড়ে সবাই চাচ্ছিলেন জো বাইডেন জয়ী হোক। তাহলে বৈশ্বিক অর্থনীতির
অবস্থার উন্নতি হবে। শেষ পর্যন্ত জো বাইডেন জয়ী হন। নতুন বছরে তিনি প্রেসিডেন্ট
হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তবে এর মধ্যেই তিনি কিছু আশার কথা শুনিয়েছেন। আশা করা
হচ্ছে, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে।
নতুন করে চায়না এবং ইন্ডিয়া সীমান্তে
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায়ই মিডিয়াতে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে
ধাক্কাধাক্কির ভিডিও দেখা গেছে। যুদ্ধ বেঁধে যাবে এমন আশংকাও শোনা গেছে। তবে শেষ
পর্যন্ত দুই দেশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।
তবে সারা বছর ধরেই ইন্ডিয়া আলোচনায়
থেকেছে। পাকিস্তানের সাথে আক্রমণে জড়িয়ে পড়া, নিজেদের দেশে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করে
বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি, কাশ্মির ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে একের পর এক আলোচনায় থেকেছে
ইন্ডিয়া। মূলত মোদি ক্ষমতায় থাকার জন্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে সমালোচিত
হয়েছেন।
ইন্ডিয়া যে অর্থনৈতিক দিকে ধাবিত হচ্ছিলো
তা থেকে ছিটকে পড়েছে এটা মোদি আসার পর জোড়ালো ভাবে বলা হচ্ছে। ক্রমাগত নিচের দিকে
তাদের অর্থনীতি ধাবমান হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যে
খারাপ হচ্ছে তা ধামাচাপা দিতেই মানুষের নজর ঘুরিয়ে নিচ্ছে।
কয়েক দশক আগে চায়না এবং ইন্ডিয়ার অর্থনীতি
একই তালে অগ্রসর হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এই দুইটি দেশ অর্থনৈতিক সুপারপাওয়ার
হবে। তবে ঠিকই চায়না তার জায়গা দখল করে নিয়েছে। আর ইন্ডিয়া তাদের পার্শ্ববর্তী
দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিপরীতে খবরদারি মনোভাব নিয়ে বসে আছে।
আমেরিকার যে একছত্র অবস্থান ছিল তা ট্রাম্পের কারণে ডুবতে বসেছিল। অন্যদিকে অর্থনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে চায়না তার অবস্থান শক্ত করে যাচ্ছে। করনোভাইরাসের মধ্যেও তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করেছে।
স্পোর্টস
একের পর এক স্থগিত হয়েছে বিশ্ব ক্রীড়া আসর এবং এর ফলে একদিকে
যেমন খেলা দেখা থেকে দর্শকরা বঞ্চিত হয়েছেন ঠিক তেমনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির
মুখে পড়েছে স্পোর্টস। মার্চ মাসে প্রথমে ইউরো এবং পরে কোপা আমেরিকা বন্ধের ঘোষণা
আসে। তবে মে মাসে মাঠে ফুটবল খেলা হলেও দর্শক ছিল শূন্য।
এর মধ্যেই জানা যায়, মেসি তার প্রিয় দল বার্সালোনা ছেড়ে চলে
যাচ্ছেন। এই খবরে সবাই মর্মাহত হন। জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী হয় মেসিকে ২০২০-২১
মৌসুমের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে নয়তো ৭০ কোটি ইউরো দিয়ে তাকে কিনে নিতে হবে। এ নিয়ে
টানা কয়েকদিন চলে উত্তেজনা। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বার্সেলোনাতেই থেকে যান।
মিডিয়া থেকে জানা যায়, এ বছর বিশ্বব্যাপী শুধু ক্লাব ফুটবলেই
ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১,৪০০ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। গত
মে মাসে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ধনী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ওই সময়
পর্যন্ত তাদের দুই কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড ক্ষতি হয়েছিল বলে জানায়। মৌসুম শেষে অঙ্কটা
আরও বড় হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল তারা। অক্টোবরে বার্সেলোনা জানায়, ২০১৯-২০
অর্থবছরে কর দেওয়ার পর তাদের মোট ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ৭০ লাখ ইউরো।
ফুটবল প্রেমীদের কাছে ২০২০ একটা শোকের বছর। বছরের একদম শেষ
দিকে এসে ২৫ নভেম্বর ফুটবল প্রতিভা দিয়েগো ম্যারাডোনা না ফেরার দেশে চলে যান।
কান্নায় ভেঙে পড়েন তার ভক্তকুল। এক সময়ে অনেক অর্থ আয় করলেও জানা যায় ম্যারাডোনা মারা
যাওয়ার সময় তেমন অর্থ রেখে যেতে পারেননি।
করোনার কারণে মাঠে খেলা বন্ধ থাকার কারণে
খেলার সাথে জড়িত অনেকেই দেশে-বিদেশে অর্থনৈতিক টানাটানির মধ্যে পড়ে যান। এ সময়
অনেক খেলোয়াড়েরই তাদের সহযোগিতায় হাত বাড়ানোর খবর মিডিয়াতে এসেছে।
মাঠে খেলা বন্ধ থাকলেও ফেসবুক লাইভে আলোচনায় এসেছেন কেউ কেউ। এর মধ্যে বাংলাদেশে তামিম ইকবাল ফেসবুক লাইভে দেশি এবং বিদেশি ক্রিকেট তারকাদের আলাপচারিতা প্রশংসিত ও জনপ্রিয় হয়েছে। আসলে ঘরে বসে যে যেভাবে পেরেছেন মানুষের সাথে কানেক্ট থাকার চেষ্টা করেছেন।
বিনোদন
গানের ক্যাসেট বা সিডি/ডিভিডি বিক্রি
থেকে আয় কয়েক বছর আগেই উধাও হয়ে গেছে। ইউটিউব-এর কারণে শ্রোতারা এখন স্মার্টফোনেই
গান শোনেন বা দেখেন। মিউজিক প্রকাশনা
সংস্থা এবং মিউজিক শিল্পীরা নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল করে সেখানেই তাদের নতুন মিউজিক
প্রকাশ করছেন। এর পাশাপাশি তাদের পুরোনো মিউজিকও আপলোড করছেন।
নতুন মিউজিক থেকে আয় না হলেও দেশে-বিদেশে
কনসার্ট করে তাও কিছু আয় করছিলেন মিউজিক-এর সাথে জড়িত শিল্পীরা। কিন্তু
করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ আছে। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন সময় মিডিয়াতে অনেক
শিল্পীদের আর্থিক টানাপোড়নের কথা এসেছে।
লম্বা সময় ধরে লকডাউনের সময় যখন মানুষ
ঘরে বন্দী হয়ে যায় তখন ফেসবুক বা ইউটিউব লাইভে এসে মিউজিক শোনার ব্যবস্থা করেছে
কিছু কিছু মিডিয়া হাউজ। কিন্তু যে জন্য আয়োজন তার উদ্দেশ্য পূরণ হয় নি। অর্থাৎ অর্থ
আসে নি।
নোবেলের ‘তামাশা’ গান নিয়ে শ্রোতারা
তামাশাই করেছেন। অথচ তিনি এই গান রিলিজের আগে অনেক আস্ফালন করেছিলেন এবং এজন্য
তাকে অনেক নেতিবাচক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। গানটি তার ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ হওয়ার
পর দ্রুত গতিতে ডিসলাইক বাড়তে থাকে। এবং কমেন্টে বিভিন্ন ধরনের গালাগালিও দেখা
গেছে।
অন্যদিকে নায়ক হিরো আলম গায়ক আলম হিসেবে
আত্নপ্রকাশ করেছেন। তার মিউজিক নিয়েও চলছে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু
তিনি নিজেই তার ইউটিউব চ্যানেলে নতুন নতুন গান গাওয়ার আগে বারবার বলছেন, তিনি
পেশাদার শিল্পী না। তিনি শুধু তার দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য গান গাইছেন। তবে
তিনি বলেছেন, যেদিন সবাই বলবে গান ভালো হয়েছে ঐদিন তিনি আর গান গাইবেন না।
তবে হিরো আলম-এর আগে লকডাউন এর পর প্রথম
নিজের মুভি ‘সাহসী হিরো আলম’ রিলিজ দিয়ে আলোচনায় আসেন। তবে মুভিটি চরম ব্যর্থ
হওয়ার খবর বের হয়েছে। দেশের মুভি হলগুলো বন্ধ থাকার কারণে আর্থিকভাবে চরম
ক্ষতিগ্রস্ত হন হল মালিকরা। তারা নিজেদের অবস্থা সচল রাখার জন্য আর্থিক প্রণোদনার
দাবি জানান। এর পাশাপাশি ইনডিয়ান কমার্শিয়াল মুভি একই সময় বাংলাদেশের হলগুলোতেও
রিলিজ দেওয়ার অনুমতি দাবি করেন।
বাংলাদেশে এখন নতুন মুভি হয় না বললেই
চলে। শুধু শাকিব খান ছাড়া আর কারো মুভির কথা
শোনাও যায় না। এমন অবস্থায় হলগুলো আর্থিক ক্ষতি দিয়ে চলতে পারবে না। তাই
বাইরে থেকে মুভি আমদানি করতে চাচ্ছেন।
যে বলিউড থেকে বাংলাদেশ মুভি আমদানি করতে
চাচ্ছে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সেই বলিউডই করোনাকালীন সময়ে ছয় মাসে ছয় হাজার
কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। হল বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবি
রিলিজ পেয়েছে বলিউডে। সামনে আবার নতুনভাবে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে পশ্চিমা
দুনিয়ায়। এমন যদি চলতে থাকে তাহলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আরো পাকাপোক্ত হবে।
অন্যদিকে একদম বছরের শেষ দিকে জানা
যায়, পপ তারকা শাকিরার
বার্সোলেনায় দুটি বাড়ি আছে। মিয়ামিতে শাকিরার যে বাড়িটি রয়েছে, তার দাম কম করে
হলেও ১৫ কোটি টাকা। আর বাহামার নাসাওয়ে শাকিরার বাড়িটি মূলত একটি দ্বীপ। এই বাড়ির
দাম প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এসব বাড়ি, গাড়ি, অর্থ, পণ্যদূত হিসেবে সম্মানী মিলিয়ে
শাকিরার মোট সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা। তিনি নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের সেরা
ধনী নারীদের তালিকায়।
নতুন বছরে সবার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হোক এই
কামনা করছি।
গুডবাই ২০২০!
হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২১!
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও লিড ট্যাক্স কনসালট্যান্ট, ট্যাক্সপার্ট
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (M.. বিস্তারিত
মুস্তাকিম আহমেদ বিস্তারিত
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পুরো বক.. বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত