English
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশঃ ২০২১-০৮-০৩ ১৭:০৯:২৩
আপডেটঃ ২০২৪-০৩-২৮ ১১:৪৫:৪৮


হীরা চিরদিনের নয়

হীরা চিরদিনের নয়


মুস্তাকিম আহমেদ

 

পর্ব-

 

চিরদিনই তুমি যে আমার

যুগে যুগে আমি ….”

 

অমরসঙ্গী  চলচ্চিত্রের এই বিখ্যাত গানটি শোনেন নি এমন বাঙালি কমই আছেন প্রেমে মানুষ তার সঙ্গীকে চিরদিনের জন্য চায়, নিজেদেরঅমর সঙ্গীভাবতে ভালবাসেকিন্তুহীরা চিরদিনেরএমন আষাঢ়ে গল্প বিদেশি হীরা বেনিয়ারা ফাঁদলেন কীভাবে? এই গানটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কি!

হোক সে বাংলা কিংবা মার্কিন মুল্লুক, সবখানেই বুঝি প্রেমেরমরাজলে ভাসে,ডোবে নাপ্রেমিক, প্রেমিকার যুক্তিহীন এই অলিক মানসিক সময়ের ফায়দা লোটে ব্যবসায়ীরা

প্রেম অথবা বিয়েতে হীরার মতো সাদামাটা খনিজ পদার্থকে তারা সুযোগ বুঝে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে

গ্রিক শব্দঅ্যাডামাসঅর্থঅজেয়আরঅ্যাডামাসথেকেই ডায়ামন্ড শব্দটির উৎপত্তি

হীরা এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে শক্ত পদার্থ যা নিখাদ কার্বনের তৈরি

হীরা বলতেই আমাদের মনে আসে একটি নাম, “কোহিনূর”(আলোর পাহাড়)


১৮৬ ক্যারেটের কোহিনূর হীরা নিয়ে একটা অদ্ভুত কথা প্রচলিত আছে 

শোনা যায় ষোড়শ শতাব্দীতে অর্ধেক পৃথিবীর প্রতিদিনের খরচ এই হীরা দিয়ে  চালানো   সম্ভব  ছিল 

হীরা কি সত্যি এত মূল্যবান? কোথায় পাওয়া যায় হীরা?

 

এই সব প্রশ্নের উত্তরই আমরা খুঁজবো

চলুন তাহলে শুরু করা যাক!

 

 

শুরুর কথা 

ভারতবর্ষ, মনুষ্যজাতির দোলনা”-মার্ক টোয়েন

 

প্রায় দুই হাজার চারশো বছর আগের ভারতবর্ষ

কৃষ্ণা নদীর কাছে (আজকের হায়দ্রাবাদ) অগভীর গর্ত থেকে সেই সময় পৃথিবীর বেশীরভাগ হীরা পাওয়া যেত

১৭২৫ সালে ব্রাজিলের জঙ্গলে হীরা আবিষ্কৃত হয়

তখনকার সময়ে বেশিরভাগ হীরার খনির মালিক ছিলেন ইংরেজ

১৮৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশাল বিশাল হীরার খনির সন্ধান মেলে

হঠাৎকরে এতো হীরার খোঁজ পেয়ে খুশি না হয়ে খনির মালিকেরা চিন্তিত হয়ে পড়লেন

তারা জানতেন দুষ্প্রাপ্যতাই হীরার উচ্চমূল্য নির্ধারণ করে বাজারে হীরার জোগান বেড়ে গিয়ে দাম কমে যাবে বুঝে তারা নিজেদের  বিনিয়োগ নিয়ে বিচলিত হয়ে উঠেন

বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারেন সঙ্ঘবদ্ধ না হলে এই ব্যবসায় ইতি টানতে হবে

সবাই  মিলেএকটাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে  “হীরা দুষ্প্রাপ্যবলে  সহজে  মিথ্যা রটানো যাবে

তাদের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল হিসেবে ১৮৮৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়, ডি বিয়ারস কনসলিডেটেড মাইন্স, লি:, ইনকর্পোরেটেড

গত শতাব্দীর প্রায় পুরোটা জুড়ে হীরার বাজারে ছিল ডি বিয়ারস-এর একচেটিয়া আধিপত্য কেউ খনি কিনতে ব্যর্থ হলে সেসব খনির সমস্ত হীরা বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ডি বিয়ারস কিনে নিত 

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর ৯০% হীরা ব্যবসা ছিল এই কোম্পানির দখলে

হীরার অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যের জন্য একমাত্র দায়ী ডি বিয়ারস

এই স্ফটিক কার্বনের জন্য অস্বাভাবিক দাম হাঁকাতে দুনিয়া জুড়ে একে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি আর প্রেমের প্রতিকে পরিণত করা প্রয়োজন ছিল

ডি বিয়ারস কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলো?

 

 

মিথ্যার বেসাতি

সেপ্টেম্বর ১৯৩৮

জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি, স্পেনে তখনো বাগদানে হীরা উপহার দেয়া শুরু হয় নি  

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সে ছিল ধনীদের রত্ন তার ওপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠে তাদের কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা ১৯৩৮ সালে সমস্ত পৃথিবীর ৭৫ ভাগ হীরা যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয়

তবে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রিত হীরা ইওরোপের মতো মান সম্মত ছিল না দামও ছিল কম-একটি হীরা ৮০ ডলার

ডি বিয়ারস কর্তৃপক্ষ মার্কিনীদের দামি হীরা কিনতে উৎসাহী করার জন্য প্রচারণার  প্রয়োজন  অনুভব করলেন

দৃশ্যপটে আবির্ভূত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিজ্ঞাপনী সংস্থা, এন ডাব্লিউ এয়ার

আমেরিকানদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করে এন ডব্লিউ এয়ার যে উপসংহারে পৌঁছল তা হচ্ছে – “নর নারীর প্রেমে হীরা অপরিহার্য”, এই ধারণা সবার মনে ঢুকিয়ে দিতে হবে

 

 

যেমন ভাবা তেমন কাজ

৯০% এর- বেশি এনগেইজমেন্ট রিং পুরুষরা কেনেন বিধায় তাদের বোঝানো হলো হীরা যত বড় আর দামি হবে তত প্রবল হবে প্রেমের প্রকাশ!

নারীদের বোঝানো হল বিয়েতে হীরা থাকবে এটাই নিয়ম

বিজ্ঞাপনী কৌশল বাস্তবায়নে এয়ার মাঠে নামলো

কৌশলের অংশ হিসেবে তারকারা যত্রতত্র তাদের হীরা দেখানো শুরু করলেন

সচেতন ভাবে নির্বাচিত পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে হীরা নিয়ে প্রকাশিত হতে থাকল নানান মুখরোচক গল্প আর স্থিরচিত্র

বেতার অনুষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজাইনাররা হীরা নিয়ে সবাই আগ্রহী হচ্ছে বলে মিথ্যা মতামত দিতে থাকলেন

সবখানে সূক্ষ্মভাবে একটা কথাই বারবার বলাপ্রেমে, বিয়েতে হীরা অপরিহার্য

সালটা ১৯৪৭

মুনাফার লোভে উন্মত্ত ডি বিয়ারসকে বছর এন ডব্লিউ এয়ার দিল আরেকটি মারাত্মক কৌশল

আমেরিকান নারীদের অবচেতনে হীরাকে পাকাপাকি ভাবে গেঁথে দেয়ার জন্য এই পদক্ষেপ ছিল প্রায় অব্যর্থ

যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিভিন্ন হাইস্কুলে হাজার হাজার ছাত্রীদের জন্য অ্যাসেম্বলিতে, শ্রেণীকক্ষে  “ আলোচনা”- আয়োজন করা হলো

আলোচনার বিষয়হীরা”, আয়োজকডি বিয়ারস”!

 

 

সেই স্লোগান তারপর

ডি বিয়ারস এমন একটা স্লোগান চাচ্ছিল যা দিয়ে হীরাকে প্রেম এবং কর্তৃত্ব উভয়ের প্রতীক  বোঝানো যায়

১৯৪৮ সালে এন ডব্লিউ এয়ারের কপি রাইটার ম্যারি ফ্র্যান্সেস গেরেটি সৃষ্টি করলেন সেই বিখ্যাত স্লোগান,“ ডায়মন্ড এজ ফরএভার 

একটি হীরা চিরদিনের

হীরা ভেঙে যেতে পারে, টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে, রঙ হারাতে পারে এমনকি পুড়লে ছাই হয়ে যেতে পারে

এতকিছুর পরেও হীরার সাথেচিরদিন” -এর তকমা এয়ার, এই স্লোগান দিয়ে সেঁটে দিল

৫০-এর দশকের শেষের দিয়ে এয়ার, ডি বিয়ারসের কাছে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারণার  সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে

বিশ বছর ধরে মার্কিনিদের মগজ ধোলাই ফল দিতে শুরু করেছে

১৯৩৯-এর টিন এজ  প্রজন্ম ৫০-এর দশকের শেষে বিয়ের বয়সে পৌঁছে গেছে

এই প্রজন্মের কাছে ততদিনে বাগদান আর হীরা সমার্থক

যুক্তরাষ্ট্রে সাফল্যের পর  সমস্ত বিশ্বে হীরাকে জনপ্রিয় করার জন্য ডি বিয়ারস মরিয়া হয়ে উঠে

তাদের নতুন গন্তব্য জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপান

জাপানিরা নিজস্ব রীতি নীতির প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাশীল এক জাতি তাদেরকে হীরা কিনতে  প্ররোচিত করা সহজ ছিল না

জাপানে ডি বিয়ারসের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৬৭ সালেতাদেরকে সেখানে অপেক্ষা করতে হয় বেশ অনেকগুলো বছর

চৌদ্দ বছর ধরে একের পর এক  বিজ্ঞাপন প্রচারণা দিয়ে ডি বিয়ারস জাপানিদের 

১৫০০ বছরের পুরনো বিয়ের ঐতিহ্য পাল্টে দিতে সমর্থ হয়

১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপান পরিণত হয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরার বাজারে

 

 

হীরা কি সম্পদ?

আপনি আজকে স্বর্ণ, স্বর্ণের অলংকার কিনলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারবেন

আপনার কন্যা, নাতনি কিংবা নাত বউ হয়ত আপনার অবর্তমানে একদিন খুশিতে ডগমগ হয়ে গ্রহণ করবে এই উপহার তাদের চোখে থাকবে আনন্দ অশ্রু!

কিন্তু অলংকারটা হীরার হলে? সাবধান!

গবেষণা জানাচ্ছে আমেরিকান পুরুষদের এই চকচকে পাথর (হীরা) কিনতে তিন বছর ধরে টাকা জমাতে হয়

হীরা কিনে এর ঝলমলে দোকান থেকে বের হওয়া মাত্র এর দাম কমে যায় ৫০ ভাগ

সোনা এবং রুপা কিনে একে সম্পদ গণ্য করা যায় সোনা এবং রুপার দাম সময়ের সাথে সাধারণত বাড়ে

কিন্তু হীরা কখনই আপনার সম্পদ নয়, বিনিয়োগ নয়

যে দোকান থেকে হীরার অলংকার কিনেছেন কিছুদিন পর সেখানে গিয়ে তাদেরই পণ্য আপনার কাছ থেকে কিনে নিতে বললে হতাশ হবেন

আপনি যখন বিক্রি করতে চাইবেন তারা পাইকারি দাম বলবে

হীরা বিক্রেতারা হীরার চালান পান পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিজের দোকানে হীরা  বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কোনো টাকা দিতে হয় না

কারণেই ক্রেতার কাছ থেকে তারা নিজের টাকা খরচ করে হীরা কিনতে চান না

ডাচ কনসিউমার অ্যাসোসিয়েশন ১৯৭৬ সালে একটা পরীক্ষা চালায়

প্রায় এক ক্যারেটের একটা হীরা কিনে তারা রেখে দেন

আটমাস পর এই হীরা বিক্রির জন্য অ্যামস্টারডামের বিশজন শীর্ষ হীরা ব্যবসায়ীর কাছে যাওয়া হয়

উনিশ জনই হীরা কিনতে অস্বীকৃতি জানান

একজন রাজি হলেও যে দাম বলেন তা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক কম

 

 

হীরা চিরদিনের”, কিন্তু কখন?

যখন আপনি নিজের কেনা হীরার কিছু বিক্রি করতে চাইবেন

অর্ধেক দামও না পেয়ে বিক্রি করতে পারবেন না, হীরা আপনার কাছেই থেকে যাবে

হল কিনা চিরদিনের!

বাংলাদেশের স্বনামধন্য হীরা বিক্রেতাদেরলাইফ টাইম এক্সচেঞ্জ পলিসিথেকে যা বোঝা যায় তা এরকম-

প্রথমবার আপনি হীরার কিছু কিনলে সম্মানিত ক্রেতা হিসেবে পেতে পারেন ডিসকাউন্ট এমনকি উপহারও

এক ক্যারেটের হীরার কোনো অলংকার তাদের কাছ থেকে কিনে কিছুদিন পর ভালো না লাগলে?

বাংলাদেশে ক্যারেট হীরার মূল্য ৭৯,০০০ টাকা

ক্যারেটের হীরার কোনো অলংকার  বদলাতে গেলে ১০% কেটে রাখা হবে (৭৯,০০০ টাকার ১০% ,৯০০ টাকা)

কেনার সময় ডিসকাউন্ট পেলে অথবা উপহার পেয়ে থাকলে তার সমপরিমাণ মুল্য, মূল দাম থেকে বাদ যাবে

এখানেই শেষ নয়

কাটা ছেড়ার পর যা থাকবে সেই অর্থ ফেরতযোগ্য নয়

আপনি কোনো নগদ টাকা পাবেন না

ভাউচার পাবেন

ভাউচার দিয়ে এক বছরের মধ্যে তাদের কাছ থেকেই কিছু না কিছু কিনতে হবে

হীরা মূল্যবান কোনো রত্ন নয় সুচতুর ভাবে হীরাকেদামিবানানো হয়েছে

শক্ত হলেও হীরা ভঙ্গুর

হীরা কিন্তু দুষ্প্রাপও নয় পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এমন রত্নের মধ্যে হীরা অন্যতম

 

 

কৌতুক?

হীরার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে ব্রতী হন টম জোয়েলনার পৃথিবী চষে বেরিয়ে হীরা নিয়ে লেখেন তার বই দি হার্টলেস স্টোন

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই বইয়ের প্রশংসা করে লিখেছে,

একটি খনিজ এবং একটি ইন্ডাস্ট্রির সরূপ উন্মোচন

আফ্রিকায় খনি শ্রমিকদের কাছে টম জানতে চেয়েছিলেন আফ্রিকা থেকে হীরা কোথায় যায়

তারা জানেন কিনা

না, তারা জানতেন না

আমেরিকায় পুরুষরা হবু স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গিয়ে হীরা উপহার দেনএমন কথা শুনে  শ্রমিকরা হেসে উঠেন

তারা প্রশ্ন করেন টম কৌতুক করছেন কিনা!

 

হীরা মহার্ঘএই চিন্তাকে দি ইকোনোমিস্ট বলছে জগতের সবচেয়ে

পরিশীলিতবিভ্রান্তি

সামান্য কার্বনের সাথেগ্ল্যামার’-কে মিশিয়ে আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে

 

 

মানব ইতিহাসের নিকৃষ্টতম প্রতারণা

মহাবিচারের দিন আমাদেরকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে

সত্য অনুসারীরা থাকবে ডান পাশে

অন্যায়, অসত্যতে ভরা যাদের জীবন তারা থাকবে বামপাশে

বিশ্বাস আর সৎকর্মে যারা অগ্রগামী তারা থাকবেন আল্লাহর কাছাকাছি

(সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত -১১)

 

সূরা ওয়াকিয়ার ৪৫ নম্বর আয়াতে এই বামপাশের লোকদের আরও পরিচয় আছে

দুনিয়ায় ওরা মত্ত ছিল (ফুটানি ) ভোগবিলাসে

 

“(হে মানুষ!) তোমাদের জানা উচিৎ (পরকালের তুলনায়) পার্থিব জীবন তো পুতুল খেলার মতো এখানে তোমরা প্রতিযোগিতা করছ ধনেজনে বেড়ে উঠে আত্মপ্রচার, ক্ষমতা   শানশওকত প্রদর্শনে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার পার্থিব জীবনের ভোগবিলাস মোহ বা আসক্তি ছাড়া কিছু নয়” (সূরা হাদিদ, আয়াত ২০)

 

হীরার অলংকারকে পরিচয় করিয়ে দিতে ইংরেজিতে একটা শব্দ ব্যবহৃত হয়, “ব্লিং

অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে এই শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক জায়গায় বলা হয়েছে, “প্রয়োজন নেই তবু সম্পত্তি, রোজগার প্রদর্শনের জন্য যে পণ্য

হীরা, হীরার অলংকার কেনা কতবড় নির্বুদ্ধিতা তা আমরা আরেকবার আসুন নিশ্চিত হই

 

ইরা ওয়েইসম্যান, একজন হীরা বিশেষজ্ঞ

 

হাফপোস্টে (সাবেক হাফিংটন পোস্ট) তিনি লিখেছেন,

হীরা ব্যবসায় গভীরভাবে জড়িত থাকা সত্যেও আমার মন্তব্য হয়তো আপনাদের বিস্মিত করবে হীরা কিনতে খরচ করা মানে টাকার দুঃখজনক অপচয় হীরা মানব ইতিহাসের নিকৃষ্টতম প্রতারণা

 

 

 

তথ্যসূত্রঃ

 

1. Rohin Dhar, "Diamonds are Bullshit".Priceeconomics, March 19 2013.     https://priceonomics.com/post/45768546804/diamonds-are-bullshit

2. EDWARD JAY EPSTEIN, "Have You Ever Tried to Sell a Diamond?". The Atlantic, February 1982. https://www.theatlantic.com/magazine/archive/1982/02/have-you-ever-tried-to-sell-a-diamond/304575/

3.SETH I. ROSEN, "Are Diamonds Really Rare? Diamond Myths and Misconceptions". International Gem Society.

https://www.gemsociety.org/article/are-diamonds-really-rare/

4.ELIZABETH SNEAD, "Crystallizing opinion". Los Angeles Times, October 10 2006.

https://www.latimes.com/archives/la-xpm-2006-oct-10-et-diamonds10-story.html

5. Ira Weissman, "7 Reasons Why Diamonds Are a Waste of Your Money". HUFFPOST, January 23 2014.

https://www.huffpost.com/entry/7-reasons-why-you-shouldn_b_1720870

6. Christmas Specials, "Glass with Attitude". The Economist, December 18 1997.

https://www.economist.com/christmas-specials/1997/12/18/glass-with-attitude

7. Al Quran Bangla Mormobani, Shahid El Bukhari Mahajataq, Yoga Foundation, 2016.

8. The Heartless Stone, Tom Zoellner, Picador, St.Martin’s Press, New York, 2006.

9. The Ring of Truth and Other Myths of Sex and Jewelry, Wendy Doniger,Oxford University Press, 2016

 

 

 



ক্যাটেগরিঃ জীবনধারা,


মুস্তাকিম আহমেদ

শিক্ষক ও সমাজকর্মী