মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান
দেশের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে চারটি বিভাগে ১৫০ ছাত্র নিয়ে গড়ে ওঠা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সমান বয়সী। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তির পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগরও পালন করছে সুবর্ণ জয়ন্তী।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী শূন্য ইউনিভার্সিটির ভেতর তেমন কোনো আয়োজন করা হয় নি। অনলাইনে ভাইস চ্যালেন্সর প্রফেসর ফারজানা ইসলাম শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা সুবর্ণ জয়ন্তীর এই ক্ষণে বসে থাকতে পারেন নি। এ বিষয়ে সবার আগে এগিয়ে আসেন জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের কাছে `মিয়া ভাই ' নামে খ্যাত ইমতিয়াজ ইকরাম। তিনি আগ্রহীদের নিয়ে ঢাকাতেই ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শিল্পকলা একাডেমিতে। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবদ্যালয়ে একটি বিশাল রি-ইউনিয়নের আয়োজন করে সপ্তম ব্যাচের ইমতিয়াজ ইকরাম ব্যাপক প্রশংসিত হন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০০ জনের উপস্থিতি ধরে মাত্র এক সপ্তাহ আগে থেকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেন আয়োজকগণ। ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকেই জড়ো হতে থাকেন সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও কেউ কেউ ছিলেন। উপস্থিতির সংখ্যা সাড়ে চারশো পেরিয়ে যায় এক সময়।
অধ্যাপক মেসবাহ উস সালেহীনকে বিশেষ
সম্মাননা জানানো হয়
৫০টি বেলুন উড়িয়ে, কেক কেটে প্রোগ্রাম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা সময়ে ২১জন শিক্ষক ছিলেন। তাদের অনেকেই পরলোকগত। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়া শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ উস সালেহীনকে অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। অধ্যাপক মেসবাহ উস সালেহীন কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
স্টেজে প্রোগ্রাম চললেও সাবেক শিক্ষার্থীদের বড় অংশ ব্যস্ত ছিলেন পরিচিত জনদের সাথে আলাপে আড্ডায়। বহুদিন পর প্রিয় মুখ দেখে তারা হারিয়ে গিয়েছিলেন পুরানো দিনগুলোতে। শিল্পকলার স্টেজের বিশাল এলইডি স্ক্রিনে তখন চলছে জাহাঙ্গীরনগরের নানা ভিডিও এবং স্টিল ছবি।
সাজেদ ফাতেমীর গান ছিল আকর্ষণীয়
গান, নাচ, ব্যাচ ধরে পরিচয় করিয়ে দেয়া, হাসি তামাশা সবই চলছিল সেখানে। রাজশ্রীর নাচ, আলিফ ও মাটির ফিউশন ডান্স, রুবেল ও সাজেদ ফাতেমীর গান ছিল আকর্ষণীয়।
অল্প সময়ের এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসেন জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক শিক্ষার্থীগণ ও তাদের প্রতিষ্ঠান। আরো অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
করোনা কালে ১২ জানুয়ারি কোনো বড় প্রোগ্রাম হয় নি। কিন্তু শিল্পকলার ছোট এই আয়োজন যেন অনেককে মনে করিয়ে দিলো, যতো চ্যালেঞ্জই থাকুক না কেন, জাহাঙ্গীরনগরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে তার শিক্ষার্থীরা অদম্য।
সম্পাদক, বিপরীত স্রোত। সাংবাদিক ও গবেষক। অ্যাসোসিয়েট ফেলো, রয়াল হিস্টোরিকাল সোসাইটি।
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
ডা. আতাউর রহমান বিস্তারিত
বাংলাদেশ মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইম.. বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাাচিত.. বিস্তারিত
রাশেদ জামান বিস্তারিত